শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে সারাদেশে সংঘঠিত বিভিন্ন নৈরাজ্য নিয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম- আহ্বায়ক মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নিজের ৭টি প্রশ্ন করেছেন। তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেছেন, অামাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা কতটা নিম্নমানের হলে সাধারণ মানুষকে প্রকাশ্যে হেনস্থা করার সুযোগ পায় আন্দোলনকারী পরিবহন শ্রমীকরা।
অাইন শৃংখলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই তারা পরিবহনের ভিতর থেকে ড্রাইভারদের টেনে হিছঁড়ে নামিয়ে আনছে। তাদের শরীরে চেহারায় কালি লেপে দিচ্ছে। যাত্রী ও পথচারীদেরর শরীরে কালি মেখে দিচ্ছে। এভাবে নির্যাতন নিপীড়ন চালানোর অধিকার তাদের কে দিয়েছে?
চারপাশে যখন এমন পরিস্থিতি সেই মুহুর্তে রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে আমার ৭টি সহজ জিজ্ঞাসা। আমি আমার প্রশ্নগুলোর প্রকাশ্যেই উত্তর চাই। আমার করা প্রশ্নগুলোর উত্তর কি আমি পাবো?
আমার প্রশ্নগুলো হলো...
১. প্রকাশ্যে অামার বোনদের উপর শ্রমিকরা হামলা চালানোর সাহস পায় কিভাবে?
২. দেশে প্রশাসন থাকার পরেও কেন শ্রমিকদের হাতে যাত্রীরা হেনস্থার শিকার হয়?
৩. পুলিশের উপস্থিতিতে কিভাবে ড্রাইভার ও যাত্রীদের মুখে পোড়া মোবিল লাগিয়ে দেয়ার দুঃসাহস পায় শ্রমিকরা? পুলিশ কি তাদের সহযোগি ছিল?
৪. বাংলাদেশে সংগঠিত এযাবৎকালে সকল অান্দোলনে অ্যাম্বুলেন্স আটকানোর ঘটনা না থাকলেও শ্রমিকদের অান্দোলনে অ্যাম্বুলেন্স আটক রাখার কারণে রোগি মারা যাবার ঘটনা এটাই প্রথম। এত বড় দু:সাহস তাদের কে দিলো?
৫. অ্যাম্বুলেন্স অাটকের কারণে অসুস্থ একটি শিশুকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এর দায়ভার আজ কে নেবে?
৬. দেশের বিভিন্ন স্থানে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এর বাসগুলো অাটক করে রাখার মত দুঃসাহস শ্রমিকরা কিভাবে করতে পারে অন্তত এই সময়ে?
৭. শ্রমিকরা যদি শক্তি প্রদর্শনের জন্যে এত বড় সন্ত্রাসী হয়ে যায়, তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা এই দেশ থেকে বাতিল করে দেয়া যৌক্তিক নয় কি?
এই মতামত লেখকের একান্ত নিজস্ব। এর সম্পুন্ন দায়ভার তার। এর জন্যে কর্তৃপক্ষ কোনভাবে দায়ী থাকবে না।