মানহানি মামলায় কারাবন্দি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে কারাবিধি অনুসারে প্রথম শ্রেণির বন্দির সুবিধা দিতে কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ড. কামাল হোসেন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
এ ঘটনায় নারী সাংবাদিকরা মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি। মইনুলের মন্তব্যকে নারী সমাজের জন্য অবমাননাকর দাবি করে একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি জেলায় মামলা হয়।
চলতি মাসের ২৩ অক্টোবর মইনুলকে আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সারুল ইসলাম। এরপর সেদিন বিকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যারিস্টার মইনুলকে।