কাজ পাগল মানুষরা সাবধান! এক সময় এ ‘অতিরিক্ত’ কর্ম-আসক্তি আপনাকে সত্যিই পাগল করে দিতে পারে। এই কাজই হতে পারে আপনার জীবনের হতাশা এবং অবসাদের কারণ। এমনটা জানালেন ফিনিস ইন্সটিটিউট অফ অকুপেশনাল হেল্থ এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের গবেষকরা।
সাম্প্রতিক এই গবেষকরা তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, যারা দিনে ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় কাজ করে তারা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ অবসাদে ভোগেন। অন্যদিকে যারা গড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং বাকি সময়টা বিশ্রাম, বিনোদন, বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গে কাটান- তাদের হতাশা আর অবসাদে ভোগার আশঙ্কা কমে যায় কয়েকগুণ।
এই গবেষণার প্রধান মারিয়ানা ভির্তানেন জানান, তারা বেশ কয়েকমাস ধরে বৃটেনের দুই হাজার সরকারি চাকরিজীবীর ওপর একটি গবেষণা চালান। প্রতিদিন সেই সব চাকরিজীবীদের কর্মকাণ্ড এবং মানসিক স্বাস্থ্যের একটি গ্রাফ নোট করতো তাদের দল। এক সময় দেখা যায়, যারা কাজ নিয়ে অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকে, তারা সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে একদম ভেঙে পড়ে এবং হতাশা ও অবসাদ তাদের পেয়ে বসে। তারা অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই অসামাজিক হয়ে পড়ে।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা অফিসের ওভারটাইমকে এই এখানে ‘অতিরিক্ত কাজ’র সঙ্গে মিলিয়ে ফেলতে বারণ করেছেন। মারিয়ানা ভির্তেনান বলেন, “ওভারটাইমকে অতিরিক্ত কাজ বলা যাবে না। ক্যারিয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে ওভারটাইম সবাইকেই করতে হয়। কিন্তু একে অতিরিক্ত কাজ কোনোভাবেই বলা যাবে না। শুধু মনে রাখতে হবে এই ওভারটাইটা যেন নিয়মিত না হয়ে যায়। তাহলেই এটা আসক্তির মতো ক্ষতিকর হতে পারে, যা হতাশা ও অবসাদসহ বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগের কারণ হতে পারে।