Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে যা লিখলেন ড. কামাল

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪৮ PM
আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৪ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


সাত দফা দাবি নিয়ে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

রবিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফীকুল্লাহ চিঠি পৌঁছে দেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নবগঠিত জোটের এই চিঠিটি গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আবদুস সোবহান গোলাপ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও সদস্য এস এম কামাল হোসেন।

গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার সাংবাদিকদের জানান, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত ৭ দফা ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসতে চায়। এজন্য তাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের বলেন, চিঠিতে কী আছে আমরা তা এখনও খুলে দেখিনি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে আসতেছেন। এরপর আমরা বসে চিঠির বিস্তারিত জানতে পারব। সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে চিঠির বিষয়বস্তুর বিষয়ে আপনাদের অবহিত করতে পারব। আমি তাদের চিঠি গ্রহণ করেছি এবং তাদেরও চিঠি গ্রহণের রিসিট কপি দিয়েছি।

জানা যায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠানো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ড. কামাল হোসেন।

চিঠিটি বিডিমর্নিং পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো :

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণভবন, ঢাকা। বাংলাদেশ।

প্রিয় মহোদয়

শুভেচ্ছা নেবেন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক দীর্ঘ আন্দোলন- সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা।

যেসব মহান আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে উজ্জীবিত ও আত্মত্যাগের উদ্বুদ্ধ করেছিল -তার অন্যতম হচ্ছে 'গণতন্ত্র।' গণতন্ত্রের প্রথম শর্তই হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে এবং জনগণকে শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে- রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনা করবে-এটাই আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার।

আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনকে একটি মহোৎসব মনে করে। 'ব্যক্তির এক ভোট' এর বিধান জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধুই নিশ্চিত করেছেন-যা রক্ষা করা আমাদের সকলের সাংবিধানিক দায়িত্ব।

ইতিবাচক রাজনীতি একটা জাতিকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের ন্যায়সংগত অধিকারসমূহ আদায়ের মূলশক্তিতে পরিণত করে-তা বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। নেতিবাচক রুগ্ন-রাজনীতি কীভাবে আমাদের জাতিকে বিভক্ত ও মহাসঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে, তাও আমাদের অজানা নয়। এ সঙ্কট থেকে উত্তরণ ঘটানো আজ আমাদের জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট ৭ দফা দাবি ও ১১ দফার লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে -জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সে লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।

আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

বিঃ দ্রঃ অত্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও এর সাত দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করা গেল।

ধন্যবাদান্তে

ড. কামাল হোসেন

Bootstrap Image Preview