মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে মৌলভী কবির আহমেদ নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) উপজেলার জঙ্গিরাই গ্রামে এঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার ও মাদরাসা থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে জঙ্গিরাই জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের পর গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ করেছে।
এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীকে শান্ত করতে জুড়ী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ষ্ট শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গত ১৮ই অক্টোবর সকাল ১০টায় মাদরাসা চলাকালীন সময়ে একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এ সময় মেয়েটি কৌশলে কবির আহমদের হাত থেকে ছুটে দৌড়ে তার ক্লাসে চলে যায়।
তারপর গত ২০শে অক্টোবর সকালে আবার তাকে ডেকে নিয়ে কু-প্রস্তাব দেন। তাতে সে রাজি না হলে তাকে ওই লম্পট শিক্ষক বলেন, তোর কপালে খারাবি আছে,তোকে পরীক্ষায় ফেল করাইয়া দেব। এ বিষয়ে মেয়েটির অভিভাবক পরদিন মাদরাসা সুপারকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
পরে এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার মাওলানা শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক কবির আহমদের ব্যাপারে ইতিপূর্বেও অনেক অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রমানের অভাবে কোনরূপ ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
জুড়ী থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে জাঙ্গিরাই জামে মসজিদে গিয়েছিল। শুনেছি মাদরাসা সুপার ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।