Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৩ তম জন্মদিন আজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:০৭ PM
আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮, ০৪:০৭ PM

bdmorning Image Preview


বাংলার বাঘ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ১৪৩তম জন্মদিন আজ (২৬ অক্টোবর)। ১৮৭৩ সালের এই দিনে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া মিয়াবাড়ির মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের স্বপ্নদ্রষ্টা শেরে বাংলা। তার পুরো নাম আবুল কাশেম ফজলুল হক। তবে শের-এ-বাংলা (বাংলার বাঘ) এবং ‘হক সাহেব’ নামেই তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন। কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ এবং সাইদুন্নেসা খাতুনের একমাত্র পুত্র  শেরে বাংলা।

জানাযায়, ১৮৭৩ সালের এই দিন মধ্যরাতে ‘বাংলার বাঘ’ জন্ম নেন সাতুরিয়ার নানাবাড়িতে। বাড়িটি ‘সাতুরিয়া মিয়াবাড়ি’নামে পরিচিত। শেরে বাংলার শৈশব ও কৈশোরের অনেকটা সময় কেটেছে ওই গ্রামে।

শেরে বাংলার প্রাথমিক শিক্ষা বাড়িতেই শুরু হয়। পরে গ্রাম্য পাঠশালায় ভর্তি হয়েছিলেন। গৃহ শিক্ষকদের কাছে আরবি, ফার্সি এবং বাংলা ভাষা শিক্ষা লাভ করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৮৮১ সালে বরিশাল জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি, ১৮৮৬ সালে অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি লাভ, এবং ১৮৮৯ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় তৎকালীন ঢাকা বিভাগে মুসলমানদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেন ফজলুল হক। প্রবেশিকা পাশ করার পর তিনি কলকাতায় গমন করেন উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য।

১৮৯১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে গণিত, রসায়ন ও পদার্থ বিদ্যায় অনার্সসহ একই কলেজে বি.এ. ক্লাসে ভর্তি হন। ১৮৯৩ সালে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণীতে বি.এ. পাশ করেন এবং বি.এ. পাশ করার পর এম.এ. ক্লাসে প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি ভাষায়। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন নিজের মেধার বলে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। পরীক্ষার মাত্র ছয় মাস আগে তার এক বন্ধু ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে, মুসলমান ছাত্ররা অঙ্ক নিয়ে পড়ে না, কারণ তারা মেধাবী নয়। এই কথা শুনে এ. কে. ফজলুক হকের জিদ চড়ে যায়। তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে, অঙ্কশাস্ত্রেই পরীক্ষা দেবেন। এরপর, মাত্র ছয় মাস অঙ্ক পড়েই তিনি প্রথম শ্রেণি লাভ করেন।

জীবনে রাজনৈতিক অনেক পদে অধিস্তান করেছেন এই মহান নেতা। তার মধ্যে ১৯৩৫ সালে কলকাতার মেয়র, ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৮সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর অন্যতম। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যেও তিনি ছিলেন অন্যতম।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে এ. কে. ফজলুক হক ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে সমাহিত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনেরও কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।

যে নেতার জন্য বাংলার কৃষকরা জমিদারদের শোষণ নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল তার জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালনেও রয়েছে বিভিন্ন মহলে অনিহা।

শেরে বাংলার স্মৃতি রক্ষাসহ তার জীবনাদর্শ ও অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ১৯৯৪ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় শেরে বাংলা স্মৃতি অ্যাকাডেমি। সংগঠনের মহাসচিব এসএম রেজাউল কবির পল্টু জানান, সাতুরিয়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে শেরে বাংলার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য তারা দীর্ঘদিন যাবত সরকারের কাছে দাবি জানালেও আজও তা মেনে নেয়া হয়নি।

জানাযায়, ১৮৭৩ সালের এই দিন মধ্যরাতে ‘বাংলার বাঘ’ জন্ম নেন সাতুরিয়ার নানাবাড়িতে। বাড়িটি ‘সাতুরিয়া মিয়াবাড়ি’নামে পরিচিত। শেরে বাংলার শৈশব ও কৈশোরের অনেকটা সময় কেটেছে ওই গ্রামে।

শেরে বাংলার প্রাথমিক শিক্ষা বাড়িতেই শুরু হয়। পরে গ্রাম্য পাঠশালায় ভর্তি হয়েছিলেন। গৃহ শিক্ষকদের কাছে আরবি, ফার্সি এবং বাংলা ভাষা শিক্ষা লাভ করেন তিনি। পরবর্তীতে ১৮৮১ সালে বরিশাল জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি, ১৮৮৬ সালে অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি লাভ, এবং ১৮৮৯ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় তৎকালীন ঢাকা বিভাগে মুসলমানদের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করেন ফজলুল হক। প্রবেশিকা পাশ করার পর তিনি কলকাতায় গমন করেন উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য।

১৮৯১ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ. পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে গণিত, রসায়ন ও পদার্থ বিদ্যায় অনার্সসহ একই কলেজে বি.এ. ক্লাসে ভর্তি হন। ১৮৯৩ সালে তিনটি বিষয়ে অনার্সসহ প্রথম শ্রেণীতে বি.এ. পাশ করেন এবং বি.এ. পাশ করার পর এম.এ. ক্লাসে প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন ইংরেজি ভাষায়। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন নিজের মেধার বলে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। পরীক্ষার মাত্র ছয় মাস আগে তার এক বন্ধু ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে, মুসলমান ছাত্ররা অঙ্ক নিয়ে পড়ে না, কারণ তারা মেধাবী নয়। এই কথা শুনে এ. কে. ফজলুক হকের জিদ চড়ে যায়। তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে, অঙ্কশাস্ত্রেই পরীক্ষা দেবেন। এরপর, মাত্র ছয় মাস অঙ্ক পড়েই তিনি প্রথম শ্রেণি লাভ করেন।

জীবনে রাজনৈতিক অনেক পদে অধিস্তান করেছেন এই মহান নেতা। তার মধ্যে ১৯৩৫ সালে কলকাতার মেয়র, ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, ১৯৫৫ সালে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৮সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর অন্যতম। যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যেও তিনি ছিলেন অন্যতম।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে এ. কে. ফজলুক হক ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে সমাহিত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনেরও কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।

যে নেতার জন্য বাংলার কৃষকরা জমিদারদের শোষণ নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল তার জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালনেও রয়েছে বিভিন্ন মহলে অনিহা।

শেরে বাংলার স্মৃতি রক্ষাসহ তার জীবনাদর্শ ও অবদান নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ১৯৯৪ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় শেরে বাংলা স্মৃতি অ্যাকাডেমি। সংগঠনের মহাসচিব এসএম রেজাউল কবির পল্টু জানান, সাতুরিয়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে শেরে বাংলার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য তারা দীর্ঘদিন যাবত সরকারের কাছে দাবি জানালেও আজও তা মেনে নেয়া হয়নি। 

Bootstrap Image Preview