Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পটুয়াখালী জনতা ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:২৬ PM
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:২৬ PM

bdmorning Image Preview


জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালী জনতা ব্যাংক নতুন বাজার শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক গোলাম আযমের (এসইও) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে চারটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

পটুয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস বাদী হয়ে বুধবার (২৪ অক্টোবর) সদর থানায় দুইটি মামলা এবং মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) একটি এবং গত ৪ সেপ্টেম্বর আরো একটিসহ মোট চারটি মামলা দায়ের করেন।

এ দিকে পৃথক চারটি মামলা হলেও বহাল তবিয়াতে রয়েছে মামলার আসামি গোলাম আযম।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) ৪র্থ মামলায় দুদক উল্লেখ করেন, ২০১২ সালে শহরের সাজেদা মহিউদ্দিন গোলাম আযমের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জনতা ব্যাংক নতুন বাজার শাখায় ১০ লাখ টাকা ঋনের আবেদন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৫ লাখ টাকা ঋণ প্রদানের সুপারীশ করেন। কিন্তু তৎকালিন সময়ে নতুন বাজার শাখার ব্যবস্থাপক গালাম আযম ৫ লাখ টাকার  চেক ক্যান্সেলের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকায় পরিবর্তন করে গ্রহীতাকে সাড়ে ৯ লাখ প্রদান দেখিয়ে গোলাম আযম নিজেই সিংহভাগ অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর মধ্য ২৪,০২৮ টাকা ব্যাংকে পরিশোধ দেখানো হয়। এ ঘটনায় দুদক ২৪ অক্টোবর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) তৃতীয় মামলায় দুদক উল্লেখ করেন, ২০১২ সালে শহরের অর্পিতা ফ্যাসন হাউজের মালিক আমিনুল ইসলামকে ঋণ গ্রহীতা দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা ঋন প্রদানের সুপারিশ নেয়া হয়। ওই ঋণে চেক ক্যান্সেলের মাধ্যমে ঋনের সীমাঅতিক্রম করে তাকে ৩১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা প্রদান করেন গোলাম আযম। এ কাজে গোলাম আযমকে সহায়তা করেছে তৎকালিন জনতা ব্যাংকে কর্মরত এ্যাডভান্স অফিসার মীর জালাল উদ্দিন। এ ঘটায় ২৪ অক্টোবর সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

দ্বিতীয় মামলায় দুদক উল্লেক করেন, ২০১৬ সালে গোলাম আযম শহরের ওসিন গার্মেন্টেসের মালিক সেন্টু মিয়াকে ঋণ গ্রহীতা দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা ঋণ সুপারিশ নেয়া হয়। সেখানে চেক ক্যান্সেলের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকার পরিবর্তে গৃহীতাকে ১০ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। ওই ঋণের অনুকুলে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫শ' টাকা পরিশোধ দেখানো হয় এবং বাকি টাকা গোলাম আযম নিজেই আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুদক ২৩ অক্টোবর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

চলতি বছরের গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলায় দুদক উল্লেখ করেন, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৫১৮ জন চাকরিজীবীকে ঋণ প্রদান করা হয়। এরমধ্য ২৪৪ জন ব্যক্তির কাগজপত্র ভুয়া ও ভৌতিক বানিয়ে ঋণ সুপারিশ নেয় গোলাম আযম। ২৪৪ জন ব্যক্তির সীল-স্বাক্ষর জাল করে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকা গোলাম নিজের স্ত্রীর সঞ্চয়ী হিসাবে জমা প্রদান করেন। পরে গোলাম আযম নিজেই বিভিন্ন সময়ে ওই টাকা উঠিয়ে নেন। এ ঘটনায় দুদক ০৪ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পটুয়াখালী দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাস জানান, অভিযুক্ত গোলাম আযম বর্তমানে পটুয়াখালী নবাবপাড়া জনতা ব্যাংক শাখায় এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ঘটনার পর অসুস্থার কারন দেখিয়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।

Bootstrap Image Preview