Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

উৎসব মুখর পরিবেশে জবির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৪২ PM
আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৪২ PM

bdmorning Image Preview


‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অদম্য তের বছর’ স্লোগানকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী।

সোমবার(২২ অক্টোবর) দিনব্যাপি এ অনুুষ্ঠানটি শুরু হয় সকাল ৯:১০ মিনিটে শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যান্ডদলে সুসজ্জিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রাটি শহীদ মিনার চত্বর হতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার মোড় ঘুরে, ভিক্টোরিয়া পার্ক পরিক্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাপ্ত হয়। এসময় ছাত্র-ছাত্রীরা নানা রঙ-বেরঙের টি-সার্ট ও শাড়ি পরে নেচে গেয়ে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ নিজস্ব বিভাগীয় ব্যানারে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে। 

শোভাযাত্রা শেষে সকাল ১০:৩০ মিনিটে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আনন্দ বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে একনেকে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আর্থিক অনুমোদনের ফলে। উপাচার্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তারিক ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই মাসেই  ঢাকার কেরাণীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রায় ২০০ একর ভূমি বরাদ্দের চূড়ান্তÍ অনুমোদন প্রদান করে। ৪০ বছর স্বাধীনতার উত্তরকালে এত জমি একসাথে কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হয়নি।”

তিনি আরো বলেন,“ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এখন গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে রাখছে। এখানকার শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছে। আরো অধিকতর মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য যেসব শর্তের প্রয়োজন আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই মিলে তা পূরণ করছি। এক্ষেত্রে সরকার আমাদের যথেষ্ট সাহায্য-সহযোগিতা করছে, আগামীতেও সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। ”

আলোচনা সভায় ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস-২০১৮’ উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব ও রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান-এর সঞ্চালনায় ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সেলিম ভূঁইয়া, বিভিন্ন অনুষদের অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি, কর্মচারী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দের অংশগ্রহণে সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এরপর  অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ১২ টার দিকে ‘শিল্প-সৃজনে আলোকিত হই’ স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় ‘১ম বার্ষিক শিল্পকলা প্রদর্শনী’র উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তৈরি করা ছবি ও অন্যান্য শিল্প কর্ম স্থান পায়। উল্লেখ্য, এবারই প্রথম বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বার্ষিক শিল্পকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

Bootstrap Image Preview