Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে রাতে মেয়েকে 'ধর্ষণ' করত শহীদউল্যা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:২৯ PM
আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৩৪ PM

bdmorning Image Preview


নোয়াখালীর সেনবাগ ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জন্মদাতা পিতা শহীদ উল্যা (৩৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপর অভিযুক্ত স্কুলছাত্রীর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার শহীদ উল্যা অর্জুনতলা ইউনিয়নের নাজিরনগর গ্রামের আশ্রাফ আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী ছাত্রী ছিলোনীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, শহীদ উল্যা একজন মাদক সেবি ও জুয়াড়ি। এরআগেও তিনি মাদক ও জুয়া খেলার অপরাধে একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শহীদ উল্যা এক মেয়ে ও তিন ছেলের বাবা। স্থানীয় ছিলোনীয়া বাজারে তার একটি চা দোকান আছে। প্রায় রাতে সবার অজান্তে তার স্ত্রী আমেনা খাতুন ও মেয়েকে (১৪) খাবারের সাথে নেশা ও ঘুমের ওষধ মিশিয়ে দিতেন। পরে তারা ঘুমিয়ে গেলে ঘুমের মধ্যে মেয়েকে (১৪) ধর্ষণ করতেন শহীদ উল্যা।

কয়েকদিন আগে ঘটনা টের পেয়ে ভুক্তভোগী মেয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায়। দুইদিন আগে শহীদ তার মেয়েকে ধর্ষণ করার সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন মা আমেনা। পরে বিষয়টি কাউকে বললে তাদের মা-মেয়েকে হত্যা করার হুমকি দেয় শহীদ। এরমধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় মেয়েটি। পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে শনিবার বিকালে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্রধরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ছিলোনীয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে শহীদ উল্যাকে গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত শহীদ উল্যা। এরপর তাকে আজ রবিবার দুপুরে কারাগারে প্রেরণ ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Bootstrap Image Preview