Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

৭ম গঙ্গা যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮ এর পর্দা নামলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০২:১৫ PM
আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮, ০২:১৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: প্রতিবেদক


শেষ হল ৭ম গঙ্গা যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮ এর ১১ দিন ব্যাপী আয়োজন। এইবার বাংলাদেশ এবং ভারত মিলিয়ে মোট ৯৬ টি দল অংশগ্রহণ করে এই উৎসবে।

'প্রতিবছর এই উৎসবে পালা করে দুই বাংলার মানুষ একত্রিত হই এবং ঘরে ফিরে যাই চোখে জল আর মুখে হাসি নিয়ে। এই বছর মোট ৫ টি দল এসেছিল ভারত থেকে, তার ভেতর ৪ টি নাট্যদল এবং ১টি নৃত্যদল। এবারের উৎসবে দুইবাংলার সংস্কৃতি নিয়ে যেমন হয়েছে গঠনমূলক আলোচনা তেমন হয়েছে তুলনামূলক সমালোচনা,যার মাধ্যমে একই ভাষাধারী দুই নদী পাড়ের দুই জাতির সংস্কৃতি সম্পর্কে পারস্পরিক ধারনা হয়েছে আরও স্বচ্ছ এবং বেড়েছে গ্রহণযোগ্যতা'।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৫.৩০ টায়  বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুস এই কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য রাখেন গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান ।তিনি জানান, বাংলাদেশের মাটিতে এত বড় একটি নাট্যোৎসব করতে পেরে  আনন্দিত গঙ্গা-যমুনা উৎসব পর্ষদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ে সচিব আবদুল মালেক,  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্যজন কেরামত মওলা, বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর সহ সভাপতি নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদের সভাপতি নাট্যজন মান্নান হীরা,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর সাধারন সম্পাদক হাসান আরিফ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।

উৎসবের সমাপনী দিনে আজ জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে পরিবেশিত হল থিয়েটার আর্ট ইউনিটের নাটক “মর্ষকাম”, স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হল ভিসন থিয়েটারের নাটক “নৈশভোজ” এবং এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হল রঙ্গপিঠের নাটক ‘মহেশ'

৫ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১১ দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে এই বছর ৯৬ টি নাট্যদল এবং প্রায় তিন শতাধিক সংস্কৃতি কর্মী অংশগ্রহণ করে। সহযোগিতা এবং অর্থায়নে সাথে থেকেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়,বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী,ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউনডেসন এবং মারকেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড।

Bootstrap Image Preview