গঙ্গা- যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের ষষ্ঠ দিনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়িত হয় নাগরিক নাট্যাঙ্গনের নাটক ‘ক্রীতদাসের হাসি’।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধা ৭ টায় গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসবের ষষ্ঠ দিনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নাগরিক নাট্যাঙ্গন বাংলাদেশের পরিবেশনায় মঞ্চায়িত হয় নাটক “ক্রীতদাসের হাসি”।
কথাশিল্পী শওকত ওসমানের উপন্যাসের অবলম্বনে রচিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন লাকী ইনাম এবং নাট্যরূপ দিয়েছেন হৃদি হক। মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন সাজু খাদেম। সঙ্গীত পরিকল্পনা ও কন্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান রনি। আলোক পরিকল্পনা করেছেন সঞ্জীব কুমার দে, জয়নাল আবেদীন পবন।
নাটকটির শিল্পালংকরণ করেছেন লিটু আনাম। নৃত্য ভঙ্গীর নির্দেশনা দিয়েছেন রায়হানুল আলম। পোষাক পরিকল্পনা করেছেন মাহমুদুল হাসান মুকুল। অভিনয়ে ছিলেন- হৃদি হক, হাবিব বাহার, জুয়েল জহুর, কামরুজ্জামান রনি, সুতপা বরুয়া, বিশ্বজিৎ ধর, আসিব চৌধুরীসহ অনেকে।
নাটকটির মূল প্রেক্ষাপট বাগদাদের আরব্য রজনী এবং সেখানের এক নগণ্য ক্রীতদাসের প্রেমকাহিনি। মেহেরজান নামক একটি মেয়ের প্রেমে পরে ক্রীতদাস তাতারী। তাতারী এবং মেহেরজানের সুখে নজর লেগে যায় খলিফা হারুনর রশীদের। আলাদা করে দেওয়া হয় দুইজনকে। তাতারীকে দেওয়া হয় অঢেল ধনসম্পদ কিন্তু মেহেরজানকে নিজের বেগম বানিয়ে তাতারীর কাছ থেকে কেড়ে নেন খলিফা। দাসত্ব থেকে মুক্ত করা হয় তাদের। তবে শর্ত একটাই, তাতারীর মুখের হাসি থাকতে হবে অমলিন। বাগবাগিচায় তার হাশির গুঞ্জন শুনতে চান খলিফা।
১৯৬২ সালে শওকত ওসমান, তৎকালীন পাকিস্থানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের শাসন ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করে এ উপন্যাসটি রচনা করেন। ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ুব খানের সামরিক শাসন পাকিস্তানকে বর্বর স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে আবদ্ধ করে সর্বসাধারণের বাক স্বাধীনতা হরণ করে ফেলার সময় এই কল্পকাহিনী রচনা করেন তিনি।
এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে গতকাল বিবর্তন যশোর পরিবেশন করে নাটক “মাতব্রিং” এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে পরিবেশিত হয় মৈত্রী থিয়েটারের নাটক “কেনারাম বেচারাম”।
এছাড়াও, বিকেল ৪.৩০ টায় মুক্তমঞ্চে ভারতের নৃত্যদল “ছন্দে ছন্দে” এবং শিশু সংগঠন তাদের আয়োজন পরিবেশন করে।
আজ শুক্রবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় নাট্যশালায় ভারতীয় দল বহরমপুর কলাক্ষেত্রের আয়োজনে পরিবেশিত হবে নৃত্যনাট্য “তাসের দেশ”। এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে দেশ নাটকের “নিত্যপুরান” এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে সপ্নদলের চিত্রাঙ্গদা পরিবেশিত হবে।