Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

২০ নারীকে খেয়ে ফেলেছে কুকুর!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:১৩ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪২ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


২০ নারীকে খুনের অভিযোগে মেক্সিকোর এক দম্পতি হুয়ান কার্লোস ও প্যাট্রিসিয়াকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নারীদের হত্যার পর তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করতেন।

বৃহস্পতিবার(৪ অক্টোবর) তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিভিন্ন নারীদের সস্তায় কাপড় বিক্রি করা হবে বলে বাড়িতে নিয়ে আসত প্যাট্রিসিয়া। তারপর সেই নারীদের খুন করত প্যাট্রিসিয়া ও তার স্বামী হুয়ান কার্লোস। হুয়ান সেই সব নারীদের মৃতদেহের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় লিপ্ত হত। পরে মৃতদেহগুলি ছোট ছোট টুকরো করে নিজেদের পোষ্য কুকুরদের খেতে দিত তারা। কিছুদিন আগে গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে তদন্ত নামে পুলিশ। সেই দম্পতির বাড়ির আাশেপাশে থেকে বেশ কিছু দেহের অংশ মিলেছে। প্যাট্রিসিয়া ও হুয়ান মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের কাছে গ্রেফতারকৃত ওই দুই ব্যক্তি অন্তত ২০ জন নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

তদন্তকারীরা ওই দম্পতির বাসা ও এর কাছাকাছি একটি জায়গায় মানুষের শরীরের টুকরো খুঁজে পেয়েছেন। সেগুলো একটি বালতি ও ফ্রিজে রাখা হয়েছিল।

প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ওই দম্পতি শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করতেন। কিন্তু এ সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাদের কাছে বিক্রি করতেন, তা জানা যায়নি।

এ ঘটনা সামনে আসার পর মেক্সিকো সিটির সড়কে অনেকে বিক্ষোভ করেছেন।

প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা ন্যান্সি হুইট্রন এবং তার দুই মাসের সন্তান নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের ঘটনা ন্যান্সির প্রতিবেশীদের সন্দিহান করে তোলে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ন্যান্সির প্রতিবেশীরা।

অভিযুক্ত দম্পতির প্রতিবেশীরা জানান, ওই দম্পতিকে একদিন দেখা যায় একটি বাচ্চা বহনের ট্রলি ঠেলে নিয়ে যেতে। পুলিশ তাদেরকে সে সময় তল্লাশি চালালে ওই ট্রলির ভেতরে মানুষের শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখতে পায়।

এদিকে গ্রেফতারের পর ওই দুই ব্যক্তি স্বীকার করেছেন হুইট্রন, অর্লেট অলগুইন ও ইভলিন রোহাস নামের তিন নারীকে তারা হত্যা করেছেন।

এই তিন নারী গত কয়েকমাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এদিকে শিশু ভ্যালেন্টিনাকে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ভ্যালেন্টিনাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।

ওই দম্পতি আরও স্বীকার করেছেন, হত্যার আগে ওই সব নারীদের মধ্যে কোনো কোনো নারীকে তারা যৌন নির্যাতন করেছেন।

হুয়ান কার্লোস ও প্যাট্রিসিয়া দম্পতির কাছ থেকে পোশাক এবং খাবার কিনতেন হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারীরা, বলেছেন তদন্তকারীরা। ভালো কাপড় রয়েছে বলে একটি জায়গায় নিয়ে ওই নারীদের হত্যা করত ওই দম্পতি।

Bootstrap Image Preview