চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে মেডিকেয়ার মেডিকেল চেকআপ সেন্টারের ভুল রিপোর্টের কারণে বিদেশগামী এক যুবকের স্বপ্ন ধুলোয় মিশে গেছে।
সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া গ্রামের মো. ফোরকান (২৬) নামে ওই যুবক ওমান যাওয়ার জন্য মেডিকেল চেকআপ করতে গত ১১ জুন আগ্রাবাদের মেডিকেয়ার মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে যান। চেকআপ শেষে কয়েকদিন পর তাকে রিপোর্ট দেওয়া হয় আনফিট বলে। অর্থাৎ বিদেশ যাওয়ার জন্য তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন।
পরে বুকভরা হতাশা নিয়ে সেই রিপোর্টসহ কোরবান চলে যান গ্রামের বাড়িতে পরের মাসে তার ওমান যাওয়ার কথা থাকলেও রিপোর্টে আনফিট আসার কারণে তিনি আর বিদেশ যেতে পারেন নি। কৌতুহলবশত গ্রামের পরিচিত এক ডাক্তার কোরবানের চেকআপের সেই রিপোর্টটি দেখতে চান। রিপোর্টটি দেখে ডাক্তার হতভম্ব। কারণ রিপোর্টে লেখা-এইচআইভি পজিটিভ, অর্থাৎ কোরবানের এইডস হয়েছে!
ওই ডাক্তার কোরবানকে কিছু না বলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও সেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও পরীক্ষা করাতে বলেন। কোরবান ডাক্তারের পরামর্শে পুনরায় চেকআপ ও পরীক্ষা করান। কিন্তু সেখানে রিপোর্ট আসে পুরোপুরি সুস্থ বা ফিট বলে এবং তার শরীরে কোনো ধরনের ভাইরাসই নেই, এইচআইভি তো দূরের কথা।
কোরবান বলেন, গত জুনের ১১ তারিখে মেডিকেয়ার মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে চেকআপ করি। তারা রিপোর্টে আনফিট লিখে। পড়ালেখা না জানার কারণে রিপোর্টটি পড়তে পারিনি। পরের মাসে ওমান যাওয়ার কথা থাকলেও আনফিট থাকায় আর যেতে পারিনি। পরে গ্রামের পরিচিত এক ডাক্তারকে দেখালে তিনি চমেক হাসপাতাল ও সেভরনে আবারও পরীক্ষা করাতে বলেন। সে অনুযায়ী ১১ অক্টোবর ওই দু'টি মেডিকেলে চেকআপ করি। সেখানে আমাকে ফিট বলে রিপোর্ট দেয়। এমনকি আমার শরীরে এইচআইভিও নেই।
এ ব্যাপারে মেডিকেয়ার মেডিকেল চেকআপ সেন্টারের ব্যবস্থাপক রাশেদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভুল রিপোর্টের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কোরবান আলী নামক একজনের শরীরে এইচআইভি বা এইডস পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহে ছিলাম। কিন্তু রিপোর্টে আনফিট লেখা ছিল না।