Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধসে মা মেয়েসহ নিহত ৪

বশির আলমামুন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০৪ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০৪ PM

bdmorning Image Preview


চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণে পাহাড় ও দেয়াল ধসে মা মেয়েসহ ৪ জন নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৩ অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি ও পাঁচলাইশ থানার রহমান নগরে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিহতরা হলেন- ফিরোজশাহ কলোনীর বরিশাল ঘোনায় বাসিন্দা একই পরিবারের মা নূর জাহান (৪৬), তার আড়াই বছরের মেয়ে ফয়জুন্নেসা ও নুর জাহানের মা বিবি জোহরা (৭১)। তাদের বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়।

এছাড়া একই সময় নগরের পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর এলাকায় পৃথক দেয়াল ধসের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দা গাইবান্ধার লাল মিয়ার ছেলে নূরুল আলম নান্টু (৩২)।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা আনসার উদ্দিন বলেন, শনিবার রাতে নগরে একই সময়ে পৃথক দুটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। রাত আড়াইটার দিকে ফিরোজশাহ কলোনীর বরিশাল ঘোনায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের মা মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে আগ্রাবাদ ও বন্দর ইউনিটের দু'টি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। পরে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রাত পৌনে দুইটার দিকে পাঁচলাইশ থানার রহমান নগর এলাকায় দেয়াল ধসে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।

পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তালেব বলেন, হিলভিউ আবাসিকের রহমান নগর প্রান্তে পাহাড়ের ঢালে থাকা একটি দেয়াল ধসে নিচে বস্তির ওপর গিয়ে পড়েছে। এতে নান্টু নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া দেয়াল ধসে পড়ার খবরে হুড়োহুড়িতে পাঁচজন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু চৌধুরী বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে গিয়েছিল। রাতে ভারি বৃষ্টিপাতের সময় রহমান নগরের একটি বস্তির কয়েকটি ঘরের ওপর পাশের হিলভিউ আবাসিকের একটি দেয়াল ধসে পড়ে। এ সময় দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন তারা।

এদিকে পাহাড় ধসে নিহতদের পরিবারে সকালে গিয়ে দেখা গেছে স্বজনদের মাঝে চলছে কান্নার রুল। শোকের মাতম। তাদের পরিবার পরিজনের আহজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আসছে। নিহত ফয়েজুন্নেছার এক আত্মীয় কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, অভাব অনটনের কারণে লক্ষীপুর  থেকে অনেক দিন আগে তারা চট্টগ্রামের এসে ফিরোজশাহ কলোনীর পাহাড়ের ঢালে ঠাই নিয়েছে। এখন পাহাড় ধসের ঘটনায় পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। একই ভাবে রহমান নগর এলাকায় নিহত নুরুল আলমের বাড়িতে চলছে আহাজারি। পিতা লালমিয়া ছেলে হারানোর শোকে বকরুদ্ধ। বলতে পারছেনা কিছুই।
 

Bootstrap Image Preview