ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৪১ জেলের জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করার পর এ জেল-জরিমানা করা হয়।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মা ইলিশ রক্ষায় তৎপর ভোলার মদস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌ-পুলিশসহ অন্যান্য বিভাগ। গত ৭ অক্টোবর থেকেই এ অভিযান পরিচালনা করে আসছে তারা। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ৪১ জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে স্ব-স্ব উপজেলার ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ তাদের এ জেলা-জরিমানা করা হয়।
মা ইলিশ রক্ষায় সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ১৮ জেলেকে আটক করা হয়। এ সময় এদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল ও মা-ইলিশ জব্দ করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১৪ জেলেকে ১ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি ৪ জেলেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেন তাদের এ জেল-জরিমানা প্রদান করেন। পরে জব্দকৃত জাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে ধ্বংস করা হয়। জব্দকৃত মাছ গরীব অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ভোলার দৌলতখানের মেঘনা থেকে ১১ জন, বোরহানউদ্দিন থেকে ৪ জন এবং লালমোহনে ৮ জনকে আটক করা হয়। সকল উপজেলা মিলিয়ে আটককৃতদের মধ্য থেকে ৩৩ জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড ও বাকি ৮ জেলেকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়া এ সময় ১৩ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২০ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল মৎস কর্মকর্তা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং জব্দকৃত ইলিশ মাছ দুস্থ্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা-ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার মধ্য রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ৪১ জেলেকে আটক করা হয়। এদের মধ্য থেকে ৩৩ জনকে ১ বছর করে সাজা এবং বাকি ৮ জনকে জরিমানা প্রদান করা হয়। মা-ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের এ অভিযান অব্যহত থাকবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত।