Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাইকারি বাজারে কমলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৫৭ PM
আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৫৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের সময়ে কোনো জিনিসের দাম না বাড়লেও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডিমের দাম। ধর্মঘটের সময় পাইকারি বাজারে প্রায় ডজন ডিমের দাম বেড়েছিল প্রতি ডজনে ২৫-৩০ টাকা।

আর ধর্মঘটের আগে পাইকারি বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়।

একই পণ্য ধর্মঘটের সময় পাইকারি বাজারে ১০০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১২০ তাকায় বিক্রি হয়েছে। ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর পাইকারি বাজার থেকে দাম বৃদ্ধির রেশ কেটে গেলেও কমেনি খুচরা বাজারের ডিমের দাম।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সরবরাহ ভালো থাকলেও ধর্মঘটের অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে এখনো বেশি দামে বিক্রি করছেন প্রতি ডজন ডিম।

রায়ের বাজারের খুচরা বিক্রেতা মামুন বিডিমর্নিংকে বলেন, ‘আমরা যেমন দামে ডিম কিনে এনেছি তেমন দামেইতো বিক্রি করবো। ব্যবসা করছি লাভের আশায়। আমরাতো লোকসান দিয়ে ব্যবসা করতে আসিনি’।

মিরপুর-১০ এর খুচরা বিক্রেতা ইদ্রিস বিডিমর্নিংকে বলেন, ‘দিমের বাজারে মন্দা চলছে। তাই বাজারে ডিমের সরবারহ কম, আর এজন্যই ডিমের দাম বেশি’।

তবে ভিন্ন কথা বললেন কারওয়ান বাজারের পাইকারি ডিমের আড়তদার আনিস মিয়া। তিনি বলেন, একথা সত্য ধর্মঘটের কারণে বাজারে ডিমের সরবরাহ কম ছিল। তবে এখন বাজারে পর্যাপ্ত ডিমের সরবারহ আছে। তাই দাম কমেছে। তিনি বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় এরকম কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে।

আসমা বেগম নামের এক ক্রেতা বিডিমর্নিংকে বলেন, ‘ধর্মঘটের সময় ডিমের দাম বাড়ার বিষয়টি মানা যায়। কিন্তু এখনো দোকানিরা যে একই দামে ডিম বিক্রি করছে সে বিষয়টি মোটেই মানা যায় না’।

কারওয়ানবাজারে বাজার করতে আসা রেদোয়ান বিডিমর্নিংকে বলেন, এখানে ডিমের দাম ঠিকই কমেছে। কিন্তু পাড়া-মহল্লার দোকানে এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। কিন্তু রোজ রোজ কি আর বাজারে আসা সম্ভব? তিনি বলেন এটা মূলত একটা সংঘবদ্ধ চক্রের ক্রেতাদের জিম্মি করার পায়তারা ছাড়া আর কিছুই না।

Bootstrap Image Preview