নানা অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন নাদিয়া মুরাদ। সেই কাহিনী তিনি শুনিয়েছিলেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। শুনিয়েছিলেন তার যন্ত্রণার কথা। শুনিয়েছিলেন, সেই যন্ত্রণাময় জীবন থেকে আলোয় ফিরে আসার লড়াইয়ের কথা। সেই অত্যাচারের দিনগুলো এখনো ভুলতে পারেননি নাদিয়া। সে কারণে এখন তিনি কাজ করছেন এমন অত্যাচারিত নারীদের নিয়ে। সেই কাজেরই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এবার পেলেন বিশ্বের অন্যতম বড় সম্মান। নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন নাদিয়া মুরাদ।
ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে নাদিয়াকে।
সেই পুরস্কারের সব অর্থই যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদের কল্যাণে খরচ করতে চান নাদিয়া মুরাদ। পুরস্কারের পাঁচ লাখ ডলারই তিনি তার সংস্থা ‘নাদিয়া’জ ইনিসিয়েটিভ’-এর মাধ্যমে খরচ করবেন বলে জানিয়েছেন।
ইরাকের মেয়ে নাদিয়া। কুর্দ জনগোষ্ঠীর ইয়াজিদি ধর্মের মেয়ে। ২০১৪ সালে ইরাক যখন প্রায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলে, তখন ১৯ বছর বয়সী নাদিয়ার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে।
তাদের বাড়ি যেখানে ছিল, সেখানে তখন আইএস-এর দাপট। জঙ্গিরা তখন ইয়াজিদি নারীদের জোর করে ধরে নিয়ে যায় দিগ্বিদিক। তেমনভাবে এক দিন থাবা বসে নাদিয়ার উপরেও। সেই সময়ে হাজার পাঁচেক নারীকে অপহরণ করে আইএস। তাদের মধ্যেই ছিলেন নাদিয়া।
এবার নোবেল পাওয়ার পর সেই অতীতের কথা নতুন করে স্মরণ করিয়েছেন নাদিয়া। পুরস্কারের অর্থ নির্যাতিতদের জন্য খরচের সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি করলেন নজির।