চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টিতে পহাড় ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া দোকানপাট থেকে ডেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাহাড় এলাকার মানুষদের। তবে প্রতিবারের মতো নানা অজুহাতে যাঁরা যেতে চাইছেন না, তাঁদেরও যেতে বাধ্য করছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার দুপুরে নগরীর লালখানবাজার এলাকা থেকে এ অভিযান শুরু হয়।
চট্টগ্রামের নির্বাহী হাকিম তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামের যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো রয়েছে, যেখানে বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ধসের আশঙ্কা থাকে, সেখানে ঝুঁকি এবং প্রাণহানি কমানোর উদ্দেশ্যে আমরা মূলত আজকের এই অভিযান পরিচালনা করছি। এখানে যারা অবৈধভাবে এবং ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে, তাদের নিয়ে আমরা এখানকার যে আশ্রয়কেন্দ্র আছে, সেখানে নিয়ে যাচ্ছি তাদের। ’
চট্টগ্রামের বেশিরভাগ পাহাড়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে শত শত পরিবার। কেউ কেউ আবার পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। কেউ পাহাড় কেটে বাড়িঘর তৈরি করেছে। স্বল্প আয়ের মানুষ এভাবে অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে বাড়ি করার ফলে আশঙ্কা তৈরি হয় পাহাড়ধসের। এ ধরনের ঘটনায় প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতি হয় জানমালের।
২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় পাহাড়ধসে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২১৩ জন। এ বছর পাহাড়ধসে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।