মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে নোমানকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে বাবুল। পরে তাকে হত্যা করে ব্যাগে করে মরদেহ ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দেয়। ঘটনাটি গাজীপুর সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকার। আব্দুল্লাহ আল নোমান (৬) নামে ঐ শিশুকে অপহরণের পর এভাবেই হত্যা করে আসামি বাবুল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব থানার গাজীপুরা এলাকার ময়লার ভাগাড় থেকে নোমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয় আসামি বাবুলকে।
নিহত নোমান গাজীপুর সদর থানার বানিয়ারচালা এলাকার লোকমান হোসেনের ছেলে। এবং আসামি বাবুল হোসেন একই এলাকার বাসিন্দা। সে নোমানদের বাসায় ভাড়া থাকতেন ও একটি পোশাক কারখানার কর্মরত রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নোমানকে বাসা থেকে অপহরণ করে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া পোশাক শ্রমিক বাবুল হোসেন। পরে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে মুক্তপণের টাকা না দিয়ে নোমানের পরিবার জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে বাবুল হোসেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাব হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল পুলিশের কাছে স্বীকারক্তি দিয়ে মরদেহের সন্ধান দেয়। বাবুলে স্বীকারক্তি অনুযায়ী গাজীপুরা এলাকার ময়লার ভাগাড় থেকে নোমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জয়দেবপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান বলেন, অপহরণের পর পোশাকশ্রমিক বাবুল হোসেন শিশুটিকে এনার্জি ড্রিংকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে। পরে তাকে হত্যা করে।
এসআই মো. সোহরাব হোসেন আরও জানান, মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।