কুমিল্লার দেবিদ্বারে সম্পত্তির লোভে সৎ শাশুড়িকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে ঘরজামাই।
বুধবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লার ৪নং আমলী আদালতে অভিযুক্ত ঘরজামাই মনির হোসেন মনির হত্যার কারণ ও হত্যাকাণ্ড ঘটানোর বর্ণনা দেন। দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইরফানুল হক চৌধুরী ১৬৪ ধারায় তার বক্তব্য রেকর্ড করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
শাশুড়ি ফরিদা বেগম(৬২) উপজেলার ধামতি পূর্বপাড়া খোশকান্দি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী। ঘরজামাই মনির হোসেন(৩৫) ভিকটিমের সৎ মেয়ে আয়েশার স্বামী। ফরিদা বেগমের বসত ঘরের পাশেই ঘরজামাই মনির শ্বশুরের দেয়া জায়গায় আলাদা একটি ঘর তুলে স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করে আসছিল। কখনো রাজমিস্ত্রীর কাজ আর কখনো অটো চালিয়ে সংসার চালাত সে। তার মূলবাড়ী দেবিদ্বার উপজেলার খয়রাবাদ গ্রামে।
পুলিশ সূত্র জানায়, শাশুড়ির ভিটে দখলের পায়তারায় সোমবার রাত ২টায় মনির হোসেন শাশুড়ির টিন সেট ও কাঁচা ভিটি ঘরের জানালার নিচের অংশে সিঁদকেটে সিঁদকাটার অংশ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে জানালা খুলে ঘরে ঢুকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধে হত্যা করে। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সেও অন্যদের সাথে স্বাভাবিকভাবে মৃত: শাশুড়ির জন্য কান্নাকাটি করতে থাকে।
প্রাথমিক ভাবে তাকে কিছু প্রশ্ন করা হলে সে স্বাভাবিক জবাব দিলেও পুলিশের সন্দেহ এড়াতে পারেনি। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ওই ঘটনায় নিহতের মেয়ে মরিয়ম বাদী হয়ে মনির হোসেনকে একমাত্র আসামি করে দেবিদ্বার থানার মামলা দায়ের করেছেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সৎ মেয়ে আয়েশার জামাই মনির হোসেন জানায়- সে সৎ শাশুড়িকে সহ্য করতে পারতনা। শাশুড়ি অসুস্থ হওয়ায় সৎ মেয়ের জামাইকে দেয়া অংশ ছাড়া বাকী ৬ শতাংশ জমি পূর্বের সংসারের ১ মেয়েসহ ৬ মেয়েকে সমহারে ১ শতাংশ করে ৬শতাংশ জমি লিখে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
ওই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিল ঘরজামাই মনির হোসেন। ২০ হাজার টাকা নিয়েও তাকে খারাপ ডোবা জায়গায় থাকতে দেয়া এবং সবসময় ঘরজামাই, খারাপ বলে খোটা দিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করায় প্রতিশোধ নিতে ও শাশুড়ির ঘরটি দখলে নেয়ার উদ্দেশ্যে বালিশ চাপা দিয়ে একাই শাশুড়িকে হত্যা করেছে