Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহিংস উগ্রবাদের প্রবণতা বাড়ছে

আদিব হোসাইন, বেরোবি প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০৫ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০৫ PM

bdmorning Image Preview


দেশে সহিংস উগ্রবাদের প্রবণতা বেড়েছে। যার একটা বড় প্রভাব পড়েছে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। ধর্মের অপব্যাখ্যা, পারিবারিক অসচেতনতা, বেকারত্ব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আইন শৃঙ্খলার যথাযথ প্রয়োগ না থাকা ইত্যাদি বিষয়কে সহিংস উগ্রবাদের বড় কারণ হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞমহল। তবে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও অন্যান্য অপকর্ম প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ব্যক্তি সচেতনতা। কারণ একজন সচেতন ব্যক্তি কখনো সহিংস উগ্রবাদের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে না।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, সহিংস উগ্রবাদ বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা। ধর্মের অপব্যাখ্যা, শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি, যথাযথ আইনের প্রয়োগ না থাকা কারণে মূলত জঙ্গি তৎপরতা হয়ে থাকে। সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে পারিবারিক ও ব্যক্তি সচেতনতাই বড় হাতিয়ার।

ইমারত হোসেন নামের এক অভিভাবক বলেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে পারিবারিক সচেতনতা বেশি জরুরি। কারণ একজন অভিভাবক যদি সঠিকভাবে তার সন্তানের খোঁজখবর রাখে সে কোথায় যাচ্ছে, কি করতেছে, কাদের সাথে মিশতেছে তাহলে সহিংস উগ্রবাদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম। তাই একজন অভিভাবকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে সঠিকভাবে তার সন্তানের খোঁজখবর রাখা।
 
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান নোবেল শেখ বলেন, ধর্মীয় গোঁড়ামীর কারণে একজন শিক্ষার্থী সহিংস উগ্রবাদের সাথে জড়িত হয়ে থাকে। তাদেরকে যদি ধর্ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া হয় তাহলে এ ধরনের উগ্রবাদের সাথে জড়িয়ে পড়বে না। এই ভয়াবহ থাবা থেকে শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার একটাই উপায় সচেতনতা। আর সচেতনতার জন্য প্রয়োজন সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ বিষয়ক সিম্পোজিয়াম- সেমিনারের আয়োজন করা। এ জাতীয় সিম্পোজিয়াম-সেমিনারের আয়োজন করলে পথ ভোলা শিক্ষার্থীদের অনেকাংশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

কারমাইকেল কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জুবায়ের আল মাসুম বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সমস্যাটি আজকের নয়, দীর্ঘ দিনের। জঙ্গিবাদ সমস্যার পেছনে মূলত কাজ করে রাজনৈতিক স্বার্থ ও ব্যক্তিগত স্বার্থ। জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ একজন শিক্ষার্থী মনে করে মানুষকে হত্যা করতে পারলেই জান্নাত পাওয়া যাবে যা কখনো কোনো ধর্ম সমর্থন করে না। এ ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। তাছাড়া সচেতনতাই পারে এ সমস্যার সমাধান করতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ঈমাম রাকিবুল ইসলাম বলেন, কোনো ধর্মই সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থাকে সমর্থন করে না। সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম বা জাতি নেই। সন্ত্রাসীর পরিচয় সে শুধুই সন্ত্রাসী। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদ থেকে সচেতন করতে শুক্রবার জুমার দিন খুতবার সময় এর ভয়াবহ দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। 
 

Bootstrap Image Preview