বরিশালের কুয়াকাটায় গার্মেন্ট কর্মী এক তরুণীকে (৩০) ২ দিন হোটেলে আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার মূল হোতা শহিদুল পলাতক থাকলেও জড়িত অপর পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান এ ঘটনায় মহিপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় নিশ্চিত করেন। এর পূর্বে গতকাল সোমবার বিকেলে ধর্ষিতা ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আটক আসামীরা হলেন- শহিদুলের বন্ধু আলমগীর হোসেন, তার বন্ধু খলিলুর রহমান, রুবেল চৌকিদার, যমুনা গেস্ট হাউসের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম এবং বেঙ্গল গেস্ট হাউসের ম্যানেজার সাইদুর রহমান সুমন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, দিনাজপুরের বিরল থানার দৌলতপুর গ্রামের ওই তরুণী রোববার সকালে হামীম পরিবহনের একটি বাসযোগে ঢাকা থেকে কলাপাড়ায় আসেন। কলাপাড়া থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াকাটায় পৌঁছে প্রেমিক শহিদুলকে খুঁজে নেন তরুণী। পরে প্রেমিকাকে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যায় শহিদুল। কিন্তু ওই বন্ধু তাদের বাড়িতে স্থান না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে শহিদুল কৌশলে ওখান থেকে সটকে পড়ে। যাওয়ার আগে তার বন্ধু আলমগীরকে বলে যায় প্রেমিকাকে যেন বাসে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু বন্ধুর প্রেমিকাকে বাসে তুলে না দিয়ে কৌশলে আবাসিক হোটেল যমুনা গেস্ট হাউসের ১০ নম্বর কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে আলমগীর। সেখানে মধ্যরাতে আলমগীর ও হোটেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম তরুণীকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় ধর্ষণ করে। সেখানে রাতভর আটকে রাখা হয় তরুণীকে।
সোমবার সকাল ৭টার দিকে আলমগীর তার বন্ধু মোটরসাইকেল চালক খলিলুর রহমানের সহায়তায় তরুণীকে বেঙ্গল গেস্ট হাউসে নিয়ে যায়। ওই হোটেলের ১০ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে তরুণীকে আবারও ধর্ষণ করা হয়। পরে খবর পেয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশ।
সেই সঙ্গে ধর্ষণে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার পাঁচজনের মধ্যে একজনের বাড়ি লতাচাপলী ইউনিয়নের আজিমপুর ও চারজনের বাড়ি মহিপুরের বিপিনপুর গ্রামে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান।