Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে পরিবেশিত হলো 'বশীকরণ' মঞ্চনাটক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:১৬ PM
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৫৬ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ সাবিত আল বাশার


গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবের চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পরিবেশিত হয়ে গেল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক বশীকরণ, আওরঙ্গজেব এবং ট্রায়াল অব সূর্যসেন। এর মধ্যে বশীকরণ নাটকতির দলের সকল নাট্যকর্মী মিল কারখানায় কাজ করেন।

সোমবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সংস্কার নাট্যদলের আয়জনে এবং ইউসুফ হাসান অর্ক'র নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় 'বশীকরণ'।

অন্নদা ও আশু, দুই বন্ধু বটে তবে দর্শনের ক্ষেত্রে রয়েছে তাদের ভেতর অনেক পার্থক্য। একজন ব্রাহ্মণ এবং আধুনিক চিন্তার, অন্যজন পশ্চিমা এবং বিজ্ঞানমনস্ক। ঘটনাচক্রে, এই দুই বন্ধুর দুই কন্যার হাতে বশীভূত হওয়ার কাহিনীই উঠে এসেছে এই নাটকে। আঙ্গিকে ব্যাবহার করা হয়েছে পাশ্চাত্যের ফার্স, ঐতিহ্যবাহী যাত্রাগান এবং বৈচিত্র্যমূলক আঞ্চলিক ভাষা।

সংস্কার নাট্যদলের জন্ম হয় ২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল। ক্ষমতা দখলের নোংরা রাজনীতি, উগ্র মৌলবাদ এবং সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রদিবাদের ভাষা হিসেবে নাটককে বেছে নিয়েছে তারা। তাদের নাটকের মাধ্যমে রাষ্ট্র, ভাষা, সমাজের সব অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তারা।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়- এই দলের সকল নাট্যকর্মী মিল কারখানায় কাজ করেন। সারা দিনের কাজের শেষে, সন্ধায় সুস্থ নাট্যচর্চার মাধ্যমে মনের খোরাক যোগান তারা। তারা যেমন কারখানার চাকা ঘোরান, তেমনি ঘোরান সমাজের চাকা।

নাটকের রচয়িতা ইউসুফ হাসান অর্ক বলেন, 'নাট্যদলের বুদ্ধিবৃত্তির চর্চার কথা ভেবেই এই নাটকটি নির্বাচন করা। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব থাকলেও এই দলের নাট্যকর্মিদের আছে সুন্দরের প্রতি অসীম বিশ্বাস। তাদের সাংস্কৃতিক দিক্ষা দেওয়ার লক্ষেই নাটকটি করা।'

অন্যদিকে, জাতীয় নাত্যশালা মিলনায়তনে প্রাঙ্গণে মোরের পরিবেশনায় এবং মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের রচনায় মঞ্চায়িত হয় নাটক 'আওরঙ্গজেব'।

নাটকের প্রধান চরিত্র আওরঙ্গজেব তার সংলাপে বলেন, 'আমি মানুষ নই, আমি অমানুষ নই। আমি এক অমীমাংসিত হিসেব। আমার জন্ম হয়েছে ভারতবর্ষে ইসলাম ধর্ম কায়েম করার জন্য।'

এ ছাড়াও, উৎসবের চতুর্থদিন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে মুক্তমঞ্চে সন্ধান লিটল থিয়েটার শিশু পরিবেশনা করে। পথনাটক পরিবেশন করেন বাংলা নাট্যদল, দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে সংবৃতা আবৃত্তি চর্চা ও বিকাশ কেন্দ্র এবং দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন বহ্নিশিখা। সন্ধ্যা ৭টায় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে ঢাকা পদাতিক নাট্যদল পরিবেশন করেন 'ট্রায়াল অব সূর্যসেন'।

প্রসঙ্গত, কাল ভারতের প্রাচ্যদল জাতীয় নাত্যশালা মিলনায়তনে পরিবেশন করবে মঞ্চনাটক 'লালসালু', লোক নাট্যদলের নাটক 'ঠিকানা' এবং জাগরনি থিয়েটার দলের নাটক 'আমি ও শ্যামা' যথাক্রমে পরিবেশিত হবে এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে।

Bootstrap Image Preview