ভোলা সদর উপজেলার কালিকীত্তি শিবপুর ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহাস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে। অবশেষে দু’দিন পর মামলা নিল ভোলা থানা পুলিশ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মৃত বশির মিয়ার স্ত্রী অসহায় থাকায় পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়ীতে কাজ করে সংসার পরিচালনা করে আসছিলো। গোলেনুরের স্বামী মারা যাওয়ায় পরিবারটি অবহসায় হয়ে পড়ে। ফাতেমা বেগম (১২) নামের কন্যা সন্তান রয়েছে। সে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে একই এলাকার আবু তাহের এর ছেলে মিজানুর রহমান (২৮) বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলে। ফাতেমা তার ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়। সুযোগ খুজতে থাকে মিজান।
এমনই একটি সুযোগ পায় গত ৫ অক্টোবর। ফাতেমার মা অন্যের বাড়ীতে কাজ করতে গেলে এই সুযোগে ঘরে একা থাকা স্কুল ছাত্রী ফাতেমাকে বাগে পায়। তার হাতে-পায়ে রশি দিয়ে বাঁধে এবং মুখে লাল টেপ দিয়ে বন্ধ করে। যাতে করে কোনো আওয়াজ করতে না পারে। এ সময় মিজান তাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
মামলার বিবরণীতে গোলেনুর বেগম আরো বলেন, তার মেয়ের বান্ধবি মোসাঃ সাদিয়া (১০) ফাতেমাকে ডাকার জন্য গেলে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পায়। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দক্ষিণ পাশের জানালা দিয়ে উকি দিলে সে উক্ত ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দিলে আশ-পাশের লোকজন চলে আসার আগেই মিজানুর রহমান পালিয়ে যায়। মেয়ের মা গোলেনুর বেগম এই খবর শুনে কাজ থেকে বাড়ীতে ফিরে আসেন। এসে দেখেন মেয়ের মুখে কসপেট এবং হাতে-পায়ে দরি দিয়ে বেঁধে রাখা। তখন তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি । বর্তমানে সে সার্জারি ওয়ার্ডের এক্সটা বেড়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঐ স্কুলশিক্ষার্থী নিজ জবান বন্ধিতে জানিয়েছে, বাড়িতে তাহার মায়ের উপস্থিত নেই তা টের পেয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে তাহার হাতে পায়ে রশি বেধে, মুখে লাল টেপ পেচিয়ে বাকরুদ্ধ করে ধর্ষণ করে এবং শারীরিক নির্যাতন চালায়।
এ বিষয় ভোলা সদর থানায় ওসি ছগির মিঞা জানান, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ২০০৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১১, তারিখ-০৬/১০/২০১৮ইং। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।