ভারত-চীনের সীমান্তবিরোধের উত্তেজনা কিছুটা কমেছে। তবে তা যে মিলিয়ে যায়নি তা ভারত ও চীনের সমরসজ্জা দেখলেই বোঝা যায়। চীন সংলগ্ন এলাকায় ভারত সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। পিছিয়ে নেই চীনও। তারা তিব্বতে বিপুলসংখ্যক সেনা উপস্থিতিতে মহড়া করেছে।
সম্প্রতি খবরে প্রকাশ, তিব্বতে মাটির নিচে সর্বাধুনিক সেনাঘাঁটি গড়ছে বেইজিং। আর এ খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত।
তিব্বতে চীন মাটির নিচে নির্মাণ করছে বোমা প্রতিরোধী বিমানপোত। বেশ কিছু যুদ্ধবিমান সেখানেই রাখা হবে। এই অঞ্চলে আগে থেকেই বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশটি।
জানা গেছে, তিব্বতের রাজধানী শহর লাসার বিমানবন্দরকেই সেনাঘাঁটিতে রূপান্তর করছে বেইজিং। প্রথমত বেসামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্ত করতেই এই বিমানবন্দরটি তৈরি করা হয়। ওই বিমানবন্দরেই সেনাঘাঁটির পাশাপাশি মাটির নিচে বোমা নিরোধক বিমানপোত নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই বিমানপোতে রানওয়ে পর্যন্ত এক বিশেষ পথ বানানো হয়েছে। বিমানবন্দরের পাশেই পাহাড়ি এলাকার তলায় তৈরি করা হয়েছে ওই স্থাপনা।
ভারতের জন্য আরো উদ্বেগের বিষয় হলো, নতুন ঘাঁটিতে অন্তত ৩৬টি যুদ্ধবিমান রাখা যাবে। বিমান ঘাঁটিটি নয়াদিল্লি থেকে মাত্র ১৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফলে সেখান থেকে সহজেই দিল্লিতে অভিযান পরিচালনা করা যাবে।
ভারতের অন্তত তিন কর্মকর্তাকে উল্লেখ করে হিন্দুস্তান টাইমস বুধবার জানায়, এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।’
ডোকলাম সীমান্তে গত বছর যথেষ্ট উত্তেজনা সঞ্চারিত হয়েছিল উভয় দেশের মাঝে। এরপর অবশ্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীন সফরে যান এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে একমত হন দুই নেতা। তবে তার পরেও সীমান্তবর্তী এলাকায় নতুন করে সেনা উপস্থিতি ও সামরিক স্থাপনা নির্মাণ উত্তেজনা বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।