মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খবির মৃধা (৪৫) বোমা বিস্ফোরণে নিহতের ঘটনায় কালকিনি থানার ওসি, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহতের পিতা বাদী হয়ে জেলা জজ কোর্টে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা, কালকিনি পৌর মেয়র এনায়েত হোসেন, বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, হানিফ বেপারী, মশিউর রহমান রাজন, বাবু বেপারী, মুকুল বেপারী, আলী সরদার, বাদল তালুকদার, লাটু বেপারী, ওসমান বেপারী, খলিল ঘরামী, নাছির ঘরামী, গিয়াস উদ্দিন ফকির, খবির সরদার, সাঈদুল আকন, ফরিদ আকন, কুদ্দুস মাতুব্বর, মিরাজ ফকির, মালেক বেপারী, মিলন বেপারী, মজিবর ফকির, আকরাম হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকালে জেলার কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের খুনেরচর এলাকার নিহত ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজন তাদের অসুস্থ্য এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিল। পথে দক্ষিণ বাঁশগাড়ী ভাদুরী নামক স্থানে পৌঁছলে আসামিরা রামদা, ছেনদা, হাত বোমাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় ইউপি সদস্যের উপর হাত বোমা নিক্ষেপ করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। হামলায় আরও ১৫ জন আহত হয়।
উল্লেখ্য, কালকিনি উপজেলার বাশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সাথে একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তার শিকদারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার দিনভর দু'গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে।
এ ঘটনায় ঢাকার তিতুমীর কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র মিরাজ ঘরামী নামের এক শিক্ষার্থীর ডান হাতের কব্জি ও বাম পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলা হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাত পাঠক বলেন, আদালতে যেহেতু মামলা হয়েছে, এর আদেশের কপি না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না। কালকিনি থানার ওসির নাম মামলার এজাহারে থাকলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। আদালত যেভাবে আদেশ দেবেন আমরা সেভাবে আইন অনুযায়ী মামলার কাজ করবো।