Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

লক্ষ্মীপুরে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা

নারী ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:১১ PM
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:১১ PM

bdmorning Image Preview


লক্ষ্মীপুরে হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়তই বাড়ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা।

গত এক সপ্তাহে প্রায় ৮শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিয়েছেন সদর হাসপাতালে। তাদের মধ্যে চার শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া শিশুদের পাশাপাশি প্রায় সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১০০ শয্যার লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভিড় করছেন। আক্রান্ত হয়ে জরুরি বিভাগে ৭০-৮০জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে গড়ে ৩০-৪৫জন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিটি বেডে ২-৩জন রোগী ভর্তি করানো হচ্ছে।

এদিকে প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতালে বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। এক বেডে এক শিশুকে চিকিৎসা দেয়ার কথা থাকলেও প্রতি বেডে দুই শিশুকে স্থান দেয়া হচ্ছে। এমনকী ফ্লোরেও স্থান সংকুলান হচ্ছে না রোগীদের।

একই অবস্থা জেলার কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও। পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় এসব রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এদিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নারী ওয়ার্ডের ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসনুর বেগম ও মাহিনুর বেগম জানান, তারা ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু বেড না পাওয়ায় মেঝেতে তাদের জায়গায় হয়েছে। এতে করে অসুস্থ রোগীদের সাথে সুস্থরাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

রোগীদের অনেকের অভিযোগ, ভর্তির পর হাসপাতাল থেকে তাদের খাবার স্যালাইন ও সামান্য কিছু ওষুধ দেয়া হয়। প্রায় সবধরণের ওষুধ তাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মো. ইছমাইল হাসান ও আবসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, গড়ে ৩৫-৪০জন রোগী ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়া আউটডোরে গড়ে ১শ থেকে দেড়শ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ রয়েছে। জনবল সংকট থাকার পরও সাধ্যমত চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

জেলা সাভিল সার্জন ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ জানান, প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিনমাস এ সময়ে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত ঔষধ সরবারহ রয়েছে। ওষুধের কোনো সংকট নেই বলেও জানান তিনি

Bootstrap Image Preview