চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে এক নার্সের সাথে চিকিৎসকের বাকবিতন্ডার জেরে বিক্ষোভ করেছে নার্সরা।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওই ওয়ার্ডে কর্মরত নার্সরা প্রায় তিন ঘণ্টা রোগীর সেবা বন্ধ রাখেন। ফলে রোগীরা যথাযত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
নার্সদের অভিযোগ, এক চিকিৎসক তাদের এক সহকর্মীকে ‘থাপ্পড়’ মেরেছেন। তবে চিকিৎসকদের দাবি, ডাক্তার ওই নার্সকে বকা দিয়েছেন মাত্র।
চমেক হাসপাতাল ডিপ্লোমা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তপন দে বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় গাইনি ওয়ার্ডে এক রোগীর ইউরিন ব্যাগ পরিষ্কার করে তাকে প্যাড পরাচ্ছিলেন দুই নার্স। তা প্রত্যক্ষ করছিলেন ডা. শাহেনা আক্তার।
“প্যাড পরানোর সময় ওই ডাক্তার হঠাৎ করে নার্স বনানী রানীর গালে থাপ্পড় মারেন। যদি নার্স কোনো ভুল করে থাকে তা প্রশাসন বিচার করবে। ডাক্তার কেন মারধর করবেন?”
এ ঘটনার ঘটনার পর ওয়ার্ডের নার্সরা সেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করতে থাকেন। বেলা ১১টায় হাসপাতালের প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বসে ডিপ্লোমা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা। বৈঠক শেষে বেলা ১২টায় তারা আবার কাজে যোগ দেয়।
তপন দে বলেন, আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দেব। দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা কর্মবিরতিতে যাব। বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেও রোগীদের সেবা প্রদান আমরা বন্ধ করিনি।
ঘটনার বিষয়ে গাইনী ওয়ার্ডের প্রধান ডা. শাহানারা চৌধুরী বলেন, ইউরিন ব্যাগের নল খোলার সময় এক রোগীর কাপড় বুক পর্যন্ত তুলে ফেলেন ওই সিস্টার। এসময় ওয়ার্ডে রাউন্ডে থাকা ডাক্তার, ইন্টার্নি, রোগীর স্বজনসহ অনেকে ছিলেন। এভাবে রোগীর প্রাইভেসি নষ্ট করায় চিকিৎসক জানতে চান- এটা কি করছো? এই বলে তিনি সিস্টারকে বকা দিয়েছেন। এখন তারা বলছে নার্সকে থাপ্পড় মারা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন বলেন, একজন চিকিৎসকের সাথে নার্সের একটু সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি।