নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের বড়াইগ্রামের গোপালপুর গড়মাটি গ্রামে বিড়ি চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক মানসিক প্রতিবন্ধি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি তুলেছে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীর একাংশ। তাদের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণেদিত হয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের লক্ষে নিহতের সৎ ভাইয়েরা এমন অভিযোগ এনেছে।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দুপুর ৩টার দিকে ওই গ্রামের একটি বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন- ওই গ্রামের নুর আলী সেখের ছেলে মজনু সেখ (২৭) একজন মানসিক প্রতিবন্ধি ও মৃগী রোগী। ঘটনার সময় মজনু বিড়ি চাইতে গেলে একই গ্রামের আখের প্রামাণিকের ছেলে কোরবান প্রামাণিক (৩৫) তার সাথে দুষ্টুমির ছলে একটু ক্ষেপানোর চেষ্টা করে। এ সময় মজনু উলঙ্গ হয়ে খারাপ ইঙ্গিত করলে কোরবান পাশে থাকা একটি লাঠি দিয়ে পিঠে আঘাত করে স্থান ত্যাগ করতে বলে।
এ সময় মজনু ভয়ে সরে গিয়ে আচমকা পাশের ডোবায় ঝাঁপ দেয়। ওই ডোবায় বাঁশ-কঞ্চিসহ নানা রকম আগাছা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বাঁশের আঘাত তার মাথায় লেগেছিলো। পরে স্থানীয়রা তাকে ডোবা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। মৃগী রোগী হওয়ায় অচেতনতা ফেরাতে চেষ্টা করার সময় নাক ও কানে রক্তক্ষরণ হয়ে তার মৃত্যু হয়। সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এই মৃত্যুর আসল কারণ বের করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান পরিবারের সদস্য ও উপস্থিত গ্রামবাসীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন, 'গ্রামপ্রধান' রুস্তম প্রামাণিক।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মজনুকে অচেতন অবস্থায় ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয় এবং রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মজনুকে কোরবান কাঠের বাটাম (লাঠি জাতীয়) দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।