Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার পরেও চিকিৎসা সেবা পাননি সোনিয়া

নারী ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:০১ PM
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:০১ PM

bdmorning Image Preview


ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার পরেও চিকিৎসা সেবা পাননি সোনিয়া খাতুন নামে এক অন্তস্বত্তা।

রবিবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর ) হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন ঘটনাটি ঘটে।

এ বিষয়ে সোনিয়া খাতুনের স্বামী কনস্টেবল আহাদ জানান, তিনি সামান্য কনস্টেবল তাই নানা অজুহাতে আমার স্ত্রীকে চিকিৎসাসেবা দিলো না ডাক্তার। রবিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর  প্রসব বেদনা শুরু হলে উপজেলার হাসপাতাল মোড়ের ভাই ভাই প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

 সেখানে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আলমগীর হোসেন তার স্ত্রীকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য সম্মতি দিলেও অন্য চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. আশরাফুল ইসলাম রোগীর হিমোগ্লোবিন কম থাকায় এনেস্থেসিয়া করতে অসম্মতি জানায় এবং দুই ব্যাগ ব্লাড দেয়ার পর রোগীকে অপারেশন করা সম্ভব হবে অন্যথায় রোগীর ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।

তিনি  আরও জানান, তার স্ত্রীকে ব্লাড দেয়ার জন্য ডোনার এর ব্যবস্থা করার পরও তার স্ত্রীর অপারেশন করা হয়নি। এ সময় তিনি হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই আওয়াল হোসেনকে বিষয়টি জানালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার জামিনূর রশিদ, আর.এম.ও ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম ও মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আলমগীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কনস্টেবল আহাদের স্ত্রী সোনিয়া খাতুনকে অপারেশনের অনুরোধ জানান।

কিন্তু চিকিৎসকগণ অপারেশনের অপারগতা প্রকাশ করে বলেও তিনি জানান। উপায়ান্তর না পেয়ে তার স্ত্রীকে ঝিনাইদহের শামীমা ক্লিনিকে ভর্তি করে সিজার সম্পন্ন করে।

অভিযোগের এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার জামিনূর রশিদ বলেন, শনিবার ও মঙ্গলবার এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর.এম.ও ডাক্তার আশরাফুল ইসলামের ২৪ ঘণ্টা ডিউটি থাকার কারণে পরদিন রোববার ও বুধবার হাসপাতালে সিজার অপারেশন বন্ধ রাখা হয়। এ সময় তিনি সোনিয়া খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানান।

ডাক্তার আশরাফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি শেষে পরদিন বিশ্রামের কারণে ছুটিতে ছিলাম, ভাই ভাই ক্লিনিকে ভর্তিকৃত রোগী সোনিয়া খাতুনের রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকায় রোগীর উন্নত নিরাপদ চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম।

এদিকে হরিণাকুণ্ডু থানার এসআই আওয়াল হোসেন বলেন, থানায় কর্মরত কনস্টেবল আহাদের স্ত্রী সোনিয়া খাতুনকে চিকিৎসা সেবা না দেয়া চরম অমানবিক। চিকিৎসার জন্য ব্লাড ও অন্যান্য সমস্ত ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও তাকে অপারেশন করা হয়নি।

তিনি আরও জানান, ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ও অন্যান্য চিকিৎসকদের রোগীটির চিকিৎসার অনুরোধ জানালেও তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি। সরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসকদের এ ধরনের অবহেলা মোটেও কাম্য নয় বলেও তিনি জানান।

Bootstrap Image Preview