সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপহরণের চার দিন পর মাইশা আক্তার নামে ১১ মাসের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার ( ১ অক্টোবর ) রাতে সিলেটের শাহপরান থানার হাতিমবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অপহরণে জড়িত অভিযোগে নগরীতে অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- মো. বাদশা মিয়া (২৫), ফারজানা আক্তার সাখী (২২) ও শিউলী বেগম (২২)। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান,অপহৃত মাইশা মোগলাবাজার থানার নৈখাই গ্রামের বাসিন্দা ফজলু মিয়ার মেয়ে। তাকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার বহির্বিভাগ থেকে অপহরণ করা হয়।
পরে মাইশার মা মোছাম্মদ সুমি বেগম বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ প্রেক্ষিতে সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিলেটের শাহপরান থানার হাতিমবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাদশা মিয়া ও ফারজানা আক্তার সখীকে আটক করা হয় এবং একই বাসা থেকে অপহৃত মাইশাকেও উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে নগরীর লালদিঘিরপাড় এলাকা থেকে শিউলী বেগমকে আটক করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া মঙ্গলবার দুপুরে আরও জানান, ওসমানী মেডিকেল থেকে মাইশাকে অপহরণ করে গ্রেফতারকৃত শিউলী বেগম। পরে বাদশা মিয়া ও সখীর কাছে মাইশাকে বিক্রি করে দেয়। বাদশা মিয়া নিঃসন্তান। তিনি সখিকে একটি সন্তান এনে দিতে বলেন। তার বিনিময়ে তিনি সখিকে ৩ হাজার টাকা বখশিস দিয়েছেন।
ওসি জানান,শিশু মাইশার মাকে খবর দিয়ে থানায় আনা হয়ে। শিশুটিকে আইনী প্রক্রিয়ায় তার মায়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়। কোতোয়ালি থানায় মাইশাকে কোলে নিয়ে জড়িয়ে ধরে মা সুমি বেগম আবেগে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।