Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ইন্ডিয়ায় সংবাদপত্রের ওপর সরকারের কোন রকম কন্ট্রোল নাই: ভারতীয় সম্পাদক

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৫৬ PM
আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:০৬ PM

bdmorning Image Preview


বিশ্বে গণমাধ্যমের বিভিন্ন বিষয়সহ ভারত-বাংলাদেশের গণমাধ্যমের একটি বিশেষ পার্থক্য দেখা যায়। বিদেশিদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কর্মপরিধি কেমন এসব বিষয় নিয়ে ভারতীয় দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকাসহ ৭টি গণমাধ্যমের প্রধান সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ নাথ ১৫ সেপ্টেম্বর হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিডিমর্নিংকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দেন।

সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন বিডিমর্নিং এর হেড অব নিউজ ফারুক আহমাদ আরিফ। ক্যামেরায় ছিলেন মেরিনা মিতু। সাক্ষাৎকারের শেষ পর্ব আজকে প্রকাশিত হলো।

ফারুক আহমাদ আরিফ: সাংবাদিকতা পেশায় আসতে আপনাকে কোন বিষয়টি অনুপ্রাণিত করেছিল?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: আমার পিতৃদেব ১৯৫০ সালে দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকা প্রকাশ করেন। সব কিছু আমাদের ঘরেই হতো। তখন হ্যান্ড কম্পোজিং ছিল। আমি ছোটবেলা থেকেই সেটা দেখেছি। বাবা যখন প্রিন্ট করে পত্রিকা নিয়ে আসতেন তখন আমরা ভাঁজ করতাম। লেভেল লাগাতাম। স্টিকার, ন্যামপ্লেট লাগাতাম। আমি ছোটবেলায় পোস্ট অফিসে নিয়ে যেতাম।

ফারুক আহমাদ আরিফ: তখন পত্রিকা ডাকে পাঠানো হতো।

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: হ্যাঁ, ১৯৪০, ৫০ সালের কথা বলছি। তখন পত্রিকা ডাকে পাঠানো হতো। কিছু হাতে দেয়া হতো। সেখানেই পিতৃদেবের কাজে অনুপ্রাণিত হয়েছি। ১৯৬৮ সালে আমার পিতৃদেব বৈদ্ধ নাথ যখন হার্ডএ্যাটাক করে ২ বছর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। তখন মাঝে মাঝে অফিসে যেতেন আবার যেতেন না। সেই সময় তার সাথে সাথে থাকতাম। সেখানে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। ১৯৭০ সালের ২৩ মার্চ তিনি প্রয়াত হন। তখন পুরো দায়িত্বটা আমার হাতে এসে পড়লো। আমি বিষয়টিকে জীবিকা হিসেবে নিয়েছি। তারপর ধীরে ধীরে কিছু সাংবাদিকদের মাধ্যমে আরো প্রসার ঘটিয়েছি। সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেশের, সমাজের মানুষের সেবা করা যায়। প্রচুর মানুষ আসে সংবাদ প্রকাশের জন্যে। তখন সার্কুলেশন খুব কম ছিল। ৩৫০, ৪০০, ৭০০ কপি। এটিই তখন বড় কিছু। অনেক কাগজ আমাদের দেশে পোস্টে যেত সিলেটের। যুগবেরী, জালালোবাদ সংবাদ অনেক কিছু। আদান-প্রদান ছিল। তখন আমি অনুপ্রাণিত হলাম কারণ সাংবাদিকতা আমার রক্তের মধ্যে ছিল। পিতৃদেব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন যুগশঙ্খ সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল। সেটাকে আমরা প্রসার ঘটিয়েছি। সংবাদপত্রে বিশাল একটা সম্মান পাওয়া যায়। আমরা সাধারণ মানুষ, আই এম নট ইন্টিলেকচ্যুয়ালম্যান পার্সন আই এম এ অর্ডিনারিম্যান। প্রচুর লোক আমাকে সম্মান করে। আমরা সাপ্তাহিক থেকে অর্ধসাপ্তাহিক পরে দৈনিক করেছি।

ফারুক আহমাদ আরিফ: কবে করলেন দৈনিক?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: ১৯৮২ সালে। ১৯৮৪ সালে অফসেট করেছি, প্রথম ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট অফসেট। ১৯৯৪ সালে রঙিন অফসেট করেছি। এখনতো লেটেস্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আসামে প্রথম দুটি স্থানে গোহাটি ও শিবচরে পত্রিকা বের করলাম, দিল্লিতে করেছি। অরুণাচলে ইংলিশ পত্রিকা করেছি। ওয়েলফিড ইংলিশ করলাম। আসামে প্রথম অসমিয়া সংবাদপত্র ম্যাগাজিন যেটা সেটা আমরা করলাম। কালার ম্যাগাজিন সেটা আমিই করেছি। ওম্যানগোল্ড নামের বিখ্যাত একজন সাহিত্যিক সেটার সম্পাদক ছিলেন। আসাম থেকে ৪ বছর আগে কলকাতায় এসেছি। আমার ১১ খানা এডিশন আছে। মিজোরামপুরে কাগজ আছে ‘মিজোরামপুর পোস্ট’ ইংলিশ পেপার। সেটি মিজোরামপুরের ফার্স্ট পত্রিকা। মনিপুরে কাগজ আছে ‘মনিপুর কলিকাল’ সেটি সেখানে সর্বাধিক প্রচারিত।

ফারুক আহমাদ আরিফ: আপনারা গ্রুপ অব কোম্পানি হয়ে গেলেন?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: গ্রুপ অব কোম্পানি, অনেকগুলো ৭টি পত্রিকার ১১টি এডিশন। দিল্লিতে একটি এডিশন আছে ‘ইস্টার্ন কলিকাল’।

ফারুক আহমাদ আরিফ: বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকতার মধ্যে কি কি পার্থক্য আছে? যদিও সাংবাদিকতা ভারতবর্ষে শুরু, বাংলাদেশে পরে আসছে।

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: বাংলাদেশে বাংলা সাংবাদিকতার উৎকর্ষতা অনেক বেশি। ভাষার ক্ষেত্রে। বিশেষ করে তারা ইংলিশ থেকে যে ভাষান্তরটা করে সেখানে আমাদের শিক্ষণীয় অনেক কিছু আছে। গাড়ির নাম্বার পর্যন্ত আমি দেখেছি যেভাবে ক খ এভাবে দেয়া, ভারতে এভাবে হয় না। বেশিরভাগ ইংলিশ থাকে, কম বাংলা থাকে আর হিন্দি। আমাদের দেশে সাংবাদিকতা তো অন্য ধরনের। রিজিওনাল সাংবাদিকতা বেশি গুরুত্ব। বিশাল দেশ তো। সে দেশের প্রত্যেকটা রাজ্যের নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে আলোকপাত করার রাইটস আছে। আমাদের বিভিন্ন সংস্করণ আছে। আসামে যে সংস্করণ আছে সেটা আসামের যে সমস্যা সেটাকে প্রধান্য দেয়। কলকাতায় যেটা আছে সেটা কলকাতার সমস্যাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ আলাদা ডেস্ক। আলাদা সংস্করণ করা হয়। বাংলাদেশে বেশির ভাগ একটা সংস্করণই সারাদেশে চলছে। আর উৎকর্ষতার দিকে দেখেছি বাংলাদেশে প্রতিভা আছে। তারা লাইনে চলে। কিন্তু আমাদের দেশটা অনেক কমপিটেটেড পলিটিকেল কান্ট্রি। ডেমোক্রেটিক কান্ট্রি তো কমপ্লিট ডেমোক্রেটিভ কান্ট্রি। আমাদের যেকোন ফ্রিডম অব রাইটস কমপ্লিট সংবাদপত্রের আছে। সরকারের বিরুদ্ধে যেকোন কিছু করতে পারি। লেখতে পারি। অনেকে আছে লিখে, বিরোধিতা করে। ইন্ডিয়ায় সংবাদপত্রের ওপর সরকারের কোন রকম কন্ট্রোল নাই। জাস্ট কাউন্সিল থেকে কিছু গাইডলাইন আছে। আমরা গাইডলাইন অনুযায়ী চলি। স্ট্যান্ডিং গাইডলাইন।

ফারুক আহমাদ আরিফ: এখনো প্রিন্ট উঠে যাচ্ছে বলবো না। তবে ইলেক্ট্রনিক (মিডিয়া) সেক্টরটা উন্নত হচ্ছে। এ দুটির মধ্যে আপনি কেমন পার্থক্য দেখছেন?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: আমি দেখছি ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে তো ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ভরপুর। প্রিন্ট মিডিয়া খুব ডাউন। ইউরোপিয়ান অনেক কাগজ বন্ধ হয়ে গেছে। ছাপা বন্ধ হয়ে গেছে। পেপার মিল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে কারণ ডিমান্ড নাই। চায়নার মতো দেশেও নিউজ প্রিন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। ইম্পোর্ট করে যা দরকার হয়। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া খুব প্রভাবশালী স্থান নিয়েছে। ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে প্রিন্ট মিডিয়া অনেক শক্তিশালী। কিন্তু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার দিকে মানুষ বেশি সময় কাটায়। যারা রাজনীতি করে, সাধারণ মানুষ, যারা সবজি বিক্রেতা তারা সময় পায় না সংবাদ পড়ার তারা (অনলাইনে) দেখে। খবরটা দেখে আর কি। আমাদের দেশে এই উপমহাদেশে সংবাদপত্রের বিরাট একটা ভূমিকা এখনো আছে। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বাড়িতে ইমাজিং বিষয়, এটা এন্টারটেইনমেন্টের ব্যাপার। এই জন্যে মানুষ বেশি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া দেখে। মজা পায়। সংবাদপত্র মজাদার কিছু না। কিন্তু জ্ঞানের, শিক্ষার অনেক ব্যাপার আছে। পলিটিকেল খবর, অর্থনীতি সবকিছু জানতে হলে মানুষকে অবশ্যই সংবাদপত্র পড়তে হবে।

ফারুক আহমাদ আরিফ: আসামে ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেন (এনআরসি) বাঙালি হটাও প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তারা বলছে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে যারা এসেছে তারা নাগরিকত্ব পাবে বাকিদের বের করে দেয়া হবে। এইযে বৈষম্য তৈরি করছে এটি আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: বৈষম্য তৈরি করা ঠিক না। ১৯৫১-৫২ সালে আমাদের নেহরু-লিয়াকত যে চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছে ভারতে যেসব মুসলমান আছে তারা ভারতে থাকবে। আর হিন্দুরা যারা ভারতে আসতে চায় তাদের সবাইকে রাখা হবে। নাগরিকত্ব দেয়া হবে। সেই চুক্তি অনুযায়ী মুসলমান যারা ভারবর্ষে ছিল তাদের যাওয়ার কথা না। এলাও টু এন্টার গেট সিটিজেনশিপ। কিন্তু এটা ভাগ্য, আসামের নেতৃবৃন্দ আন্দোলন করে প্রফুল্ল চন্দ্রের নেতৃত্বে ৭ বছর। তখন রাজীব গান্ধীর সময় চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিতে কংগ্রেস বার্গিলিং করেছিল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত যারা ভারতে আসছে তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। ১৯৫০ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০-৭০ লাখ লোক ভারবর্ষে ঢুকেছে। দারিদ্রতার জন্যে, কাজের জন্যে তারা ঢুকেছে। তারা সিটিজেনশিপ পেয়েছে। যেটা পাওয়ার কথা ছিল না নেহরু-লিয়াকত চুক্তি অনুযায়ী। আসাম চুক্তিতে মুসলমানদের বড় একটা প্রাপ্তি আছে। অসম (আসাম) যারা বলছে বাঙালি বিতাড়ন সেটাতো ২০ বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। মুসলমানরা ২০ বছর পেয়ে গেছে। আর সরকার বলছে না হিন্দুরা যারা শরণার্থী হিসেবে আসছে তাদের থাকার অধিকার থাকবে। হিন্দুস্তান তো হিন্দুদের দেশ, সারা পৃথিবীর যেকোন স্থান থেকে হিন্দুরা আসে তাহলে ভারতে স্বাগতম জানানো হবে। যদি অত্যাচারিত হয়ে আসে। এখন বিপদ হচ্ছে বাংলাদেশে আড়াই কোটি হিন্দু আছে। এরা ভারতে পাড়ি জমালে ভারতের ৪ কোটি মুসলমানকে বাংলাদেশে চলে আসতে হবে। আমি যে সম্মেলনে এসেছি, যেখানে গেছি সেখানে শুনলাম তারা বিপদে আছে। হিন্দুরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছে। এটা যদি বাস্তবে হয়, একজন লোক বলছে যে ২০ বছর পর এখানে একজন হিন্দুও থাকবে না। সব চলে যাবে। আমাদের জমিজমা সব নিয়ে যাচ্ছে মুসলমানরা। দুষ্কৃতিকারীরা নিয়ে যাচ্ছে পলিটিকেল মদদ পেয়ে। এমন যদি হয়! আমাদের সুন্দরী নারীদের দিকে কুদৃষ্টিতে দেখে। কিভাবে তাকে নেয়া যায় সেদিকে দৃষ্টি থাকে। তাদের মায়েরা খুব আতঙ্কে থাকে আমার মেয়েটা চলে যায় যদি অন্যদিকে? এই ভেবে তারা চিন্তিত হয়ে আছে। সত্যি যদি চলে যায়। আড়াই কোটি হিন্দু যদি ইন্ডিয়ায় চলে যায় তাহলে সামাজিক বিরাট একটা বিদ্রোহ হবে। এর ফলে কি হবে...

রক্তিম দাস, মেরিনা মিতু ও সম্পাদক বিজয় কৃষ্ণ নাথ

ফারুক আহমাদ আরিফ: একটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার...

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: দাঙ্গা হবে। হয়তো ২ কোটির বিনিময়ে ভারতের ৪ কোটি মুসলমান বাংলাদেশে চলে আসতে বাধ্য হতে পারে। দাঙ্গা হলে কে থামাতে পারবে? বিপদ দুই দিকেই হবে। আমরা চাই ভারতবর্ষে যারা আছে তারা ভারতে থাকুক। এনআরসির যেটা আছে এনআরসি সেভাবে চলুক। যারা সত্যিকারের বিদেশি তাদের তো চলে আসতে হবে। বিদেশি তো কিছু আছেই। ১৯৭১ সালের পর যারা আছে সেখানে বিদেশি তো কিছু আছেই। আমাদের অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার বলেছিল সেখানে ওয়ার্কপার্মিট দিয়ে রাখবো। এখানে মুসলমানরা যারা আছে তারা হিউম্যান রিসোর্স। আমরা ইদের দিন, মহররমের দিন দেখেছি বাজার সয়লাব হয়ে যায়। বাজারে কিছুই পাওয়া যায় না। সব তারা কিনে নেয়। বাজারে মাছ থাকে না। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কৃষিখাতে যে চাষ করে সেটা বাঙালি মুসলমানরা করে ভারতে। সব বাঙালি, বাংলাদেশি। তাদের শুধু শুধু কেন খাটাবো? তাদের ওয়ার্কপার্মিট দিয়ে রাখবো বাজপেয়ী বলেছিল। ইউ নট ফুল ব্যাক বাংলাদেশ। কেন তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেব? আমরা সভ্যদেশ। ১৯৪৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে ১০০ জন মানুষের ফাঁসি হয়নি। অথচ বাংলাদেশে গত ১০ বছরে ৩০০ লোকের ফাঁসি হয়েছে।

ফারুক আহমাদ আরিফ: বাংলাদেশে হিন্দুরা এবং ভারতে মুসলমানরা বলছে যে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। এ বিষয়টা বিভাবে সমাধান করা যায়?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: ভারতে যারা মুসলমান আছে সেফ ফেইজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ড তাদের নিরাপত্তা অনেক। ভারতবর্ষকে মুসলমানদের স্বর্গরাজ্য বলা হয়। এতো নিরাপত্তা। হিন্দুদের মন্দির, ধর্মস্থান এ্যাটাক করে। স্বরসতি পূজার মূর্তি ভাঙে। দুর্গা পূজা হতে দেয় না যেখানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেখানে সংখ্যালগুদের ভয়ে হিন্দুরা থাকে। সেখানে অনেকস্থানে ৬০ শতাংশ মুসলমান। সেখানে হিন্দুরা ভয়ে থাকে মুসলমানদের। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা দেখেছি কোনখানে হিন্দুদের ভয়ে মুসলমানরা থাকে না। এই হলো তফাৎ হা হা হা। তাদের তাণ্ডব। সেখানে যত দুষ্কৃতিকারী সব মুসলমান। ডাকাত, চোর, জেলেবন্দী ৯০ শতাংশ মুসলমান। ক্রিমিনাল যত কেস থানায়, কোর্টে তার ৯০ শতাংশ মুসলমান। জনসংখ্যা যত বাড়ছে মুসলমান তত বাড়ছে ইন্ডিয়াতে। প্রচুর ছেলে-মেয়ে। একেক জনের ২০ টা ২৫টা থাকে।

ফারুক আহমাদ আরিফ: এতো!

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: এতো হচ্ছে।

রক্তিম: শিক্ষাহীনতা মূল কারণ।

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: আসামে একবার সেন্সাস (আদম শুমারি) করতে বাড়িতে গিয়েছিল। বলছিল কয়জন লোক? সে গুনতে পারছিল না। বললো বালিশগুলো গুন। নিচে বালিশ পাতানো আছে, বালিশগুলো গুন। বালিশ গুনে দেখে ২৭টা বালিশ আছে একটা পরিবারে। একটা পরিবারে ৪০টা বালিশ। এক একটা ২টা ৩টা বিয়ে করেছে। একেক জনের ১৭টা ১৮টা ২০টা বাচ্চা। গরীব মানুষরা পড়ে থাকে ফ্লোরের মধ্যে। এইভাবে জনস্ফীতি হয়েছে সেখানে।

ফারুক আহমাদ আরিফ: শিক্ষার হারটা কম?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: শিক্ষা তো নাই-ই। শিক্ষার ব্যাপার কিছু নাই একবারে। শুধু কি বলে আরবি শিক্ষাটা আছে।

ফারুক আহমাদ আরিফ: মকতব যেটাকে বলে?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: মকতবের শিক্ষাটা আছে। কিছু বুঝে না। আমি শুনেছি শুধু মুখস্ত করে। বিষয়বস্তু কিছুই জানে না।

ফারুক আহমাদ আরিফ: হাফেজ যারা।

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: হ্যাঁ। শুধু মুখস্ত। আধুনিক শিক্ষা কিছুই পায়নি তারা। ধর্মীয় শিক্ষায় প্রভাব।

ফারুক আহমাদ আরিফ: পুরোপুরি ধর্মীয় শিক্ষাও পায়নি?

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: না পায়নি। আধুনিক শিক্ষা না জানলে তো শুধু মাদরাসার শিক্ষায় কোন কাজ হবে না। আরবি শিক্ষা করলে আমাদের কি হবে?

ফারুক আহমাদ আরিফ: আরবি তো আমাদের ভাষা না।

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: হ্যাঁ, আরবি আমাদের ভাষা না। এটা হয়তো আরবে গেলে কাজে আসবে। কোন স্কুপ নেই, নট টেকনোলজি।

ফারুক আহমাদ আরিফ: বিডিমর্নিংকে সময় দেওয়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।

বিজয় কৃষ্ণ নাথ: ধন্যবাদ।

Bootstrap Image Preview