অ্যাওয়ে ম্যাচে চেলসিকে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখাই লক্ষ্য ছিল লিভারপুলের। কিন্তু শনিবাসরীয় স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শেষ মুহূর্তের গোলে হার বাঁচাল লিভারপুল। এই ড্রয়ের সঙ্গেই চলতি প্রিমিয়র লিগে লিভারপুলের অল উইন জার্ণিতে ছেদ পড়ল। প্রথম ছয় ম্যাচ টানা জয়ের পর এদিন প্রিমিয়র লিগে প্রথম পয়েন্ট নষ্ট করল জুর্গেন ক্লপের ছেলেরা।
টানা সপ্তম জয়ের লক্ষ্যে এদিন ম্যাচের শুরুটা প্রত্যাশামতই করে লিভারপুল। দূরপাল্লার শটে চেলসি গোলরক্ষককে বার দুয়েক বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন সালাহ। কিন্তু ২৫ মিনিটে হ্যাজার্ডের গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় চেলসি। ৭০ ঘন্টার ব্যবধানে লিভারপুলের বিরুদ্ধে ফের গোল করলেন এই বেলজিয়ান। চেলসি মাঝমাঠে দুর্দান্ত বোঝাপড়ার ফসল এই গোল। প্রায় মাঝমাঠ থেকে মাটিচের থ্রু ধরে বক্সের বাঁ দিক থেকে লিভারপুল গোলরক্ষককে কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন হ্যাজার্ড। গোল খাওয়ার পর তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে যায় ক্লপের ছেলেরা। একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও গোলমুখ খুলতে পারেনি তারা। এরইমধ্যে সালাহ’র একটি শট গোললাইন সেভ হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণে আরও উপভোগ্য হয়ে ওঠে চেলসি-লিভারপুল দ্বৈরথ। ম্যাচে সমতা ফেরানোর যেমন একাধিক সুযোগ পায় লিভারপুল, তেমনই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগও চলে আসে চেলসির সামনে। কিন্তু গোলমুখ কিছুতেই খুলছিল না। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের একমিনিট আগে দুরন্ত গোলে লিভারপুলকে সমতায় ফেরান ড্যানিয়েল স্টুরিজ। পেনাল্টি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে তাঁর বাঁ পায়ের দুরন্ত শট জড়িয়ে যায় বিপক্ষের জালে। ১-১ গোলে শেষ হয় ম্যাচ।
এই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে সাত ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে নেমে এল রেডস’রা। সমসংখ্যক ম্যাচে চেলসির সংগ্রহ ১৭ পয়েন্ট। অন্য ম্যাচে ব্রিটনকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়র লিগের শীর্ষে উঠে এল ম্যান সিটি। শনিবার ঘরের মাঠে ম্যাচের দুই অর্ধে দলের হয়ে গোলদুটি করেন রহিম স্টার্লিং এবং সার্জিও আগুয়েরো। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট সমান থাকলেও গোল পার্থক্যে লিভারপুলকে ছাপিয়ে গেল পেপ গুয়ার্দিয়োলার ছেলেরা।