যাত্রীরা বিমানে উঠলেন আকাশ পাড়ি দিতে। কিন্তু বিমান গিয়ে পড়ল হ্রদে। পরে নৌকায় করে পাড়ে আসেন যাত্রীরা। শুক্রবার সকালে প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত ওয়েনো দ্বীপের বিমানবন্দরে নামতে গিয়ে বিপত্তির মুখে পড়ে এয়ার নিউগিনি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি। এতে গুরুতর আহত হন চার যাত্রী। উড়োজাহাজে ১১ জন ক্রু-সহ মোট ৪৭ জন আরোহী ছিল।
বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মাইক্রোনেশিয়ায় পোনপেই দ্বীপ থেকে পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোর্সবিতে যাচ্ছিল বিমানটি। পথে ওয়েনো দ্বীপের বিমানবন্দরে নামতে গিয়েই ঘটে এই বিপত্তি।
সংস্থাটি জানায়, শুরুতে স্বাভাবিক আবহাওয়া থাকলেও অবতরণের সময় হঠাৎ বদলে যায় তা। এ সময় প্রচণ্ড বৃষ্টি আসায় কমে যায় দৃশ্যমানতা। যার কারণে রানওয়ের বদলে বিমানবন্দর লাগোয়া একটি হ্রদে গিয়ে নামে বিমানটি। কয়েক মিনিটের মধ্যেই নৌকা নিয়ে উদ্ধারে হাজির হন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা।
বিমানের ভিতরে পানি ঢুকলেও বেশ কিছুক্ষণ ভেসে ছিল এটি। সব যাত্রীদের উদ্ধারের পরেই ধীরে ধীরে ডুবতে শুরু করে বিমানটি। বেশ কয়েক জন যাত্রী সাঁতার কেটে পাড়ে আসেন।
দুর্ঘটনার পর এয়ার নিউগিনি এক বিবৃতিতে বলেছে, এয়ার নিউগিনি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, সব যাত্রীরা নিরাপদে বিমান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন এবং সবাই নিরাপদে আছেন। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রী ও বিমানের ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটল, তা এখনো জানায়নি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
বিমানের একজন যাত্রী বিল জায়নেস বলেন, ‘বিমানের ভেতর পানি দেখার আগ পর্যন্ত আমি বুঝতেই পারিনি এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এটা একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা।’
ওই যাত্রী বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমরা নিরাপদেই বিমানবন্দরে অবতরণ করেছি। এরপর দেখি একটি ছিদ্র দিয়ে বিমানের ভেতর পানি ঢুকছে। তখন মনে হলো যে এটা তো হওয়ার কথা নয়।’
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা যেভাবে নৌকা নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তার প্রশংসা করেন বিল। তিনি বলেন, ‘তারা সঙ্গে সঙ্গে নৌকা নিয়ে চলে আসে। তারা অসাধারণ এবং আমি অভিভূত।’