Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেবিদ্বারে নবজাতককে তিন খন্ড, উচ্চ পর্যায়ের পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:০৭ PM
আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:০৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রসবের সময় নবজাতককে তিন খন্ড করার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। এ ঘটনার অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে আসেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডাঃ মজিবুর রহমান ও ডিপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাৎ হোসেন। এসময় ডাঃ মজিবুর রহমান তাদের বহিষ্কার করেন।

জানা যায়, গত শনিবার রাতে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফাতেমা বেগম নামের এক প্রসূতির নবজাতককে প্রসবের সময় দুই সিনিয়র নার্স ও এক আয়া অংশ নেন। তাদের মাধ্যমে প্রসব কার্যক্রমের সময় নবজাতকটি তিন খন্ড হয়ে যায়। ওই দিনের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে আয়া জেসমিন আক্তার ডলি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী শিরিন আক্তারের দায়িত্বে অবহেলার কারনে তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেন সিভিল সার্জন। এছাড়া ওই ঘটনা তদন্তে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে ৫ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের পৃথক একটি কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন।

এর আগে রবিবার দুপুরে উপজেলা কমপ্লেক্সের গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসাল্টেন্ট ডাঃ তামান্না আফতাব সোলাইমানকে প্রধান করে ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মঞ্জুর রহমান এবং মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহসানুল হক মিলুকে সদস্য করে ৩সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার সময় ডাঃ আহসানুল হক মিলু রাত্রীকালীন ডিউটিরত থাকায় সোমবার দুপুরে ওই তদন্ত কমিটি থেকে তাকে বাদ শিশু কনসাল্টেন্ট ডা. আশরাফুল ইসলামকে কমিটিতে যুক্ত করা হয়।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডাঃ মজিবুর রহমান জানান, আমার প্রাথমিক তদন্তে আয়া জেসমিন আক্তার ডলি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী শিরিন আক্তারের সরাসরি দায়িত্বে অবহেলা প্রমানিত হওয়ায় তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করি। আর সিনিয়র নার্স ও ডাক্তারদের দায়িত্ব অবহেলার কোন প্রমান আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট ভাবে তদন্ত কমিটি দিতে পারে তাদের বিরুদ্ধে ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, যে শিশুটিকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে সেই শিশুটি সাড়ে ৭ মাসের মৃত ছিল। প্রসবের সময় আমাদের দুইজন সিনিয়র নার্স ও আয়া অংশ নিয়ে ছিলো। বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের চিকিৎসকরা অবগত ছিলেন না কেন সেই বিষয়টি তদন্ত কমিটি ক্ষতিয়ে দেখবে। তাছাড়া মৃত বাচ্চটির ব্যাপারে আমাদেরকে কেন অবগত করানো হয়নি সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

Bootstrap Image Preview