Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ফরিদপুরে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

হারুন-অর-রশীদ,ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:০৭ PM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:০৭ PM

bdmorning Image Preview


ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের কাগদি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় কাগদি বাজারের কয়েকটি দোকানঘর ভাংচুর করে।

আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।পরিস্থিতি নিয়স্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষপ করে।

পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, কাগদি উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন আগামী ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দীনের প্যানেল ৫ জন সদস্য প্রার্থী ও মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আফছার উদ্দীনের প্যানেলে ৫ জন সদস্য প্রার্থী রয়েছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার সকাল ১১ টার দিকে গিয়াস উদ্দীনের প্যানেলের প্রার্থীরা ইউনিয়নের স্বজনকান্দা গ্রামে ভোট চাইতে যান। 

এ সময় আফছার উদ্দীনের সমর্থকরা তাদের ভোট চাওয়ায় বাঁধা দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে সালথা থানার এএসআই হেলাল উদ্দীন উপস্থিত হয়ে উভয় দলের লোকজনকে শান্ত করে দেন। এদিকে ভোট চাওয়ায় বাঁধা দেওয়ার খবর পেয়ে কাগদি গ্রামের গিয়াস উদ্দীনের সমর্থক রনি আফছার উদ্দীনের সমর্থক বিপ্লবকে ধাওয়া দেয়। এ ঘটনা নিয়ে আফছার উদ্দীনের সমর্থকরা কাগদি বাজারে গিয়াস উদ্দীনের সমর্থকদের কয়েকটি দোকান-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুরাটিয়া, হরেরকান্দী, কাগদি, স্বজনকান্দা ও নওপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের দুই গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়।

খবর পেয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সালথা-নগরকান্দা) সার্কেল এফ.এম মহিউদ্দীনসহ সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শর্টগানের ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আফছার উদ্দীন বলেন, ভোট চাওয়া নিয়ে যেটা ঘটেছিলো, ঘটনাস্থলে হেলাল দারোগা গিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছে। কিন্তু গিয়াসের সমর্থক রনি আমার লোক বিপ্লবকে রামদা দিয়ে ধাওয়া দেওয়ায় ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দোকান ঘরে কে বা কারা হামলা করেছে তা আমি জানি না। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, আমার লোকজন ভোট চাইতে গেলে আফছারের সমর্থকরা বাঁধা দেয়। এ সময় হেলাল দারোগা ঝামেলা মিমাংসা করে দেন। ভোট চাওয়ায় বাধা দিয়েও তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। পরেই আফছারের লোকজন কাগদি বাজারে এসে আমার দলের কয়েকটি দোকানঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। 

সালথা থানার এএসআই হেলাল উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করার জন্য স্বজনকান্দা গ্রামের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় লোকজনের উত্তেজনা দেখে এগিয়ে যাই। উভয় দলের লোকজনের কথা শুনে তখনি মিমাংসা করে দেই। 

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, হট্টগোলের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ আসেনি।

 


 

Bootstrap Image Preview