Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুখীকে টেনে হেঁচড়ে কোয়ার্টারের ছাদে নিয়ে যায় সাব্বির!

ক্রাইম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:০০ PM
আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:০০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় সাব্বির আহম্মেদ নামে এক বখাটের উৎপাতে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে বখাটে সাব্বির আহম্মেদ গা-ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার আমুয়া পূর্বপাড় সরদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত দু’দিন ধরে স্থানীয় আমুয়া উচ্চ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করছেন।

নিহতের নাম সুখী আক্তার (১৪)। সে উপজেলার আমুয়া পূর্বপাড় গ্রামের আব্দুল হাই সরদারের মেয়ে এবং আমুয়া বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।

নিহত ছাত্রীর বাবা আব্দুল হাই সরদার জানান, মেয়ে আমার খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিল, ৫ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। আসন্ন জেএসসি পরীক্ষায়ও সুখী ভালো রেজাল্ট করত। কিন্তু, আমুয়া হাসপাতালের স্টাফ নার্স মোছা: খাদিজা বেগমের বখাটে ছেলে সাব্বির আহম্মেদ আমার মেয়ে সুখীর স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেম নিবেদনসহ প্রায়ই তার হাত ধরে টানাটানি করত।

জানা যায়, এ বিষয়টি প্রথমে উত্যক্তকারী সাব্বিরের মা খাদিজাকে, পরে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জানানো হলেও সাব্বির থেমে থাকেনি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সুখী জেএসসি পরীক্ষার কোচিং করতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সাব্বির সুখীকে টেনে হেঁচড়ে হাসপাতাল কোয়ার্টারের ছাদে নিয়ে যায়। পরে সুখীর বড় ভাই রাকিব ও ভগ্নিপতি মো: নাসির উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুখীকে বাসায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় ওইদিনই বখাটে সাব্বিরের মা খাদিজা ও তার বড় ভাই রাব্বি ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে উল্টো শাসিয়ে আসেন এবং বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি অন্য রকম করে উল্টো-পাল্টা ভাবে জানাজানি করেন। এ ঘটনায় গত ২০ সেপ্টেম্বর লোক লজ্জা ও ঘৃণায় সুখী নামের ওই স্কুলছাত্রী তার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানা ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং একটি অপমৃত্যুর মামলা নথি ভুক্ত করা হয়েছে।

Bootstrap Image Preview