'নারীদের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণ করা দরকার কিন্তু কতজন নারী এই ক্ষেত্রে আসছে সেটা দেখার বিষয়। নারীরা যত বেশি শিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ঠিক ততটা বাড়ছে না। পোশাকশিল্পে প্রচুর নারী আছে কিন্তু সচিবালয়ে নারী সচিবের সংখ্যা খুবই কম। কেন এসকল ক্ষেত্রে নারী কম তা এখন দেখার সময় হয়েছে এবং দেখতে হবে এই ক্ষেত্রগুলো থেকে কেন নারীরা হারিয়ে যায়।'
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সকাল ১০:৩০ মিনিটে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে "জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন নয়, নির্বাচন চাই’’ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, 'আওয়ামীলীগ চেষ্টা করেছে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এবং এর ফলে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনও হয়েছে। সরাসরি নির্বাচন নারীরা করবে তাতে কোন দ্বিমত নেই। তবে যাকে সুযোগ দেয়া হবে সেই ক্ষেত্রে তাদের কাজে লাগাতে হবে। দেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদরীয় নেত্রী নারী হলেও দেশের সামগ্রিক কাঠামোকে নারী বান্ধব করতে হবে।'
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হিসাবে এইদাবিগুলো তিনি দলের যথাযথ স্থানে তুলে ধরবেন। যে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী সে দেশে নারীকে বাইরে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, রাজনীতিবিদ ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, বাসদ'এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সম্পা বসু, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান ও আরো অনেকেই।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আয়শা খানম বলেন, 'আজকের মতবিনিময় সভার এই বিষয়টি নারী আন্দোলনের দীর্ঘ কয়েক দশকের আন্দোলনের দাবি যার প্রয়োজন সময়ের দাবিতে প্রকট আকারে দেখা দিচ্ছে। রাজনীতিতে নারীদের জন্য সংখ্যাটা যেমন গুরূত্বপূর্ণ তেমনি নির্বাচন পদ্ধতিটাও খুব প্রয়োজন।'
তিনি আরও বলেন, '২০০৮-১৮ এই দশ বছরে নারীর জন্য আইন হয়েছে কিন্তু সরাসরি নির্বাচনের বিষয়টি নারীর ক্ষেত্রে এখনো আসেনি। এর ফলে নারীরা ক্ষমতায়িত হচ্ছে না এবং রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আসতে পারছে না। নারীরা কি শুধু সংরক্ষিত আসনেই থাকবে না দলের নেতৃত্বে থেকে মূল রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবে এই বিষয়টি আজ রাজনীতির এজেন্ডায় আসা উচিৎ। '