রাজধানীর রায়েরবাজারের বেড়িবাধ এলাকার ষড়কুঞ্জের সামনের রাস্তায় ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছে স্যান্টারিংয়ের বাঁশ। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।
রাস্তার পাশে শুধু স্যান্টারিংয়ের বাঁশ, কাঠ নয় সাথে অতিরিক্ত যোগ হয়েছে ময়লার স্তুপ। এগুলো রাখার পর ফুটপাতের আর কোনো জায়গা অবশিষ্ট থাকে না। যার ফলে পথচারীদের বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। শুধু ষড়কুঞ্জের সামনের রাস্তা নয়। মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা পার হওয়ার পর হাজারীবাগ যাওয়ার পুরো রাস্তা জুড়ে এমন চিত্র চোখে পড়বে।
স্বল্প সময়ে পুরান ঢাকায় যাওয়া যায় বলে এ রাস্তা দিয়ে গাবতলী থেকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা হয়ে অনেক বাস-ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ী চলাচল করে। এছাড়া অসংখ্য সিএনজি এবং অটোরিশাও চলাচল করে এ রাস্তা দিয়ে। যার ফলে হরহামেশাই ব্যস্ত থাকে রাস্তাটি।দিনে কোনোমতে চলাচল করতে পারলেও রাতে ভয়াবহ রূপ নেয় এ রাস্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আনিস ভান্ডারি নামের এক ব্যক্তি তার প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে ফুটপাতের উপর স্যান্টারিংয়ের বাঁশ-কাঠ রেখে ব্যবসা করছেন। রাস্তায় কাজ করছিলেন তার এক কর্মচারি আফতাব উদ্দিন।
তারা যে ফুটপাত দখল করে ব্যবসায়িক সরঞ্জাম রাখছে তার কোনো নীতিগত অনুমোদন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বিডিমর্নিংকে বলেন, অনুমতি ছাড়া কি রাস্তায় কেউ ব্যবসা করতে পারে। অবশ্যই অনুমতি নেওয়া আছে। মালিকের কোনো না কোনো নেটওয়ার্ক আছে যার ফলে রাস্তায় মালামাল রেখে ব্যবসা করতে পারছে।
রাস্তায় মালামাল রাখায় পথচারীদের সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এটা আমাদের মালিকের বিষয়। এটা আমাদের বিষয় না। আমরা এখানে কাজ করে টাকা পাই এই আরকি।
এই বিষয়ে গার্মেন্টকর্মী পথচারি ইউনুস বিডিমর্নিংকে বলেন, প্রতিদিন সকাল এবং রাতে এ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই। এই রাস্তা দিয়ে অনেক জোরে বাস-ট্রাক চলে। তার উপর ফুটপাতে সবসময়ই বাঁশ-কাঠ ও ময়লা আবর্জনা থাকে যার ফলে বাধ্য হয়ে রাস্তার উপর দিয়ে হাঁটতে হয়।
তিনি বলেন, এই রাস্তা দিয়ে চলার সময় সবসময় খুব আতঙ্কে থাকি। কখন যেনো পিছন থেকে ট্রাক চাপা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলে, আনিস ভান্ডারি দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উপর স্যান্টারিংয়ের মালামাল রেখে ব্যবসা করছে। আর ফুটপাত হলো মানুষের হাঁটার জায়গা। আর সেই জায়গায় যদি মানুষ ব্যবসার কাজে ব্যবহার করে তাহলে মানুষ হাটবে কীভাবে বা কোন পথ দিয়ে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও কার্যত এটা দেখার কেউ নেই।
এই পথ দিয়ে রোজ যাতায়াত করা গার্মেন্টকর্মী শিরিন বিডিমর্নিংকে বলেন, খুব ভয় লাগে এই রাস্তা দিয়ে চলতে। বিশেষ করে রাতের বেলা যখন কাজ শেষে বাসায় ফিরি তখন সাই সাই করে ট্রাক চলে এ রাস্তা দিয়ে।ফুটপাতে ময়লা ও মালামাল থাকার কারণে রাস্তা দিয়েই হাঁটি।
তিনি বলেন, এ সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। যাতে করে পথচারিরা নির্বিঘ্নে ফুটপাতে দিয়ে হাটাচলা করতে পারে সে ব্যবস্থা করা উচিত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিস ভান্ডারি বিডিমর্নিংকে বলেন, আমি খুব বেশিদিন ধরে এখানে স্যান্টারিংয়ের মালামাল রাখি নাই। সকালে রাখি রাতে নিয়ে যাই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে মালামাল রাখা আমার উচিত হয়নি। পথচারীদের কথা আমি চিন্তা করি নাই। অতি শীঘ্রই আমি ফুটপাত থেকে আমার মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করবো।