Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, প্লাবিত রাজবাড়ীর ২০ গ্রাম

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:১২ AM
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:১২ AM

bdmorning Image Preview


পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয়েছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার ২০ গ্রাম। বাড়িতে পানি থাকায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত এক মাসে বন্যাকবলিত এসব গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন।

উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের লস্করদিয়া, হরিণবাড়িয়া, ভাগোলপুর, বিজয়নগর, নারাণপুর, আলোকদিয়া, কালিকাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া, মাঠকালুখালী, কামিরাসহ ২০ গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এসব এলাকার বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বন্যাকবলিত এ এলাকার মানুষ।

হরিণবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেম জানান, প্রতি বছর এসব এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। তবে এবার ভাঙনের পাশাপাশি বন্যার কারণে আমরা দিশাহারা হয়ে পড়েছি। শত শত একর জমি পদ্মার ভাঙনে ভেঙে গেছে, সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বন্যা। গবাদিপশু নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকের মধ্যে আছি। অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব।

বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দা সাথী আক্তার জানান, বাড়িতে পানি আসায় রান্নাবান্না করা বেশ সমস্যা হচ্ছে।  এসব এলাকায় এখন পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানি এবং খাদ্য সহায়তা এসে পৌঁছেনি।

কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রায় ৩০ দিন পদ্মাপাড়ের এসব মানুষ বন্যাকবলিত রয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের কাছে কোনো ত্রাণ তৎপরতা পৌঁছেনি।

তিনি বলেন, এ কারণে বন্যার্তদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যাকবলিত এসব এলাকায় খাদ্য সংকট এবং বিশুদ্ধ পানির বেশ অভাব রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী বলেন, বন্যা ও ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দাদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে রতনদিয়া ইউনিয়নের এক হাজার এবং কালিকাপুর ইউনিয়নের ছয় শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে ঘরহারা মানুষকে নগদ টাকা ও টিন বরাদ্দ দেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview