Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘আদালত-থানা’ নিয়ে তাদের প্রতারণা যেন সবাইকে হার মানায়!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১৩ PM
আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:১৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


দীর্ঘদিন ধরে আদালতের বিচারকসহ বিভিন্ন সরকারি অফিস প্রধানদের সিল ব্যবহার করে জাল দলিল, ভুয়া ওয়ারেন্ট, ভুয়া রায়ের কপি ও তালাকনামাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জালিয়াতি করে প্রতারণা করেছিল একটি চক্র। অবশেষে বরিশাল নগরী ও বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে এ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ জাল দলিল, বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলের স্ট্যাম্প, বিচারকসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারদের সিল, ওয়ারেন্ট ও তালাকনামার কপি।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসের ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।

গ্রেফতার প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন- উজিরপুরের কেশবকাঠী এলাকার মৃত করিম হাওলাদারের ছেলে শাহজাহান হাওলাদার, বানারীপাড়ার ইলুহার এলাকার মৃত একরাম আলী তালুকদারের ছেলে আব্দুল মন্নান তালুকদার, মেহেন্দিগঞ্জের আলীমাবাদ গ্রামের আবুল হোসেন চৌকিদারের ছেলে মো. বাবুল চৌকিদার এবং আগৈলঝাড়ার চাত্রিশিরা গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিন মৃধার ছেলে মো. নজর আলী মৃধা। এদের মধ্যে আব্দুল মন্নান, মো. বাবুল ও শাহজাহান হাওলাদার আইনজীবী সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলেন।

পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ চক্রটি ভুয়া ওয়ারেন্ট ইস্যু, জাল দলিল তৈরি ও আদালতের রায় তৈরিসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল।

গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে তাদের প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সোমবার গভীর রাতে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল বানারীপাড়ার ইলুহার গ্রামের আলী আকবার মিয়ার ভাড়াটিয়া মন্নান তালুকদারের বাসায় অভিযান চালায়।

এ সময় বিপুল পরিমাণ জাল দলিল, বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলের স্ট্যাম্প, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারদের সিল, ওয়ারেন্ট এবং তালাকনামাসহ মন্নান তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়।তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ওই রাতেই বরিশাল নগরীর বগুড়া রোড এবং চকবাজার রোডের দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে বাবুল চৌকিদার, শাহজাহান হাওলাদার এবং নজর আলী মৃধাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জাল দলিল, মৌজা নকশা, পর্চা, স্ট্যাম্প ফলি, ১৯০০ সালের পঞ্জিকা, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সিল ও এমনকি শাপলা সিল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেফতার চারজনকে বানারীপাড়া থানায় সোপর্দ করে প্রতারণার মামলা দেয়া হয়েছে। এ চক্রের অন্য সদস্যদের খুঁজছে পুলিশ। শিগগিরই এ চক্রের সব সদস্যকে গ্রেফতার করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কয়েকজন সহযোগী এবং পৃষ্ঠপোষকদের নাম প্রকাশ করেছে তারা। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।

Bootstrap Image Preview