Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্ত্রীর সাথে বন্ধুর পরকীয়া, ছিনতাইয়ের পর হত্যা!

রাজীবুল হাসান, ভৈরব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২৪ AM
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২৬ AM

bdmorning Image Preview


ভৈরবে স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় নিজ বন্ধুকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন খুনের মামলার গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামি জুটন (২২)। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের আদালতের বিচারকের নিকট জবানবন্দি তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। 

জবানবন্দিতে সে জানায়, ঘটনার দিন দুপুরে আমরা ৬ জন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে একসাথে ভৈরব নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। আমাদের সাথে বাপ্পীও ছিল। রেলওয়ে সেতুর কাছে কয়েকজন ছেলে মেয়েকে হাঁটতে দেখে ছিনতায়ের পরিকল্পনা করি। আমরা সবাই মিলে ভ্রমণে আসা ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে তাদের স্বর্নলংকার, মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনতাই করার পর ভাগভাটোয়ারা করছিলাম। ভাগাভাগি নিয়ে আমাদের মধ্য দ্বন্দ হয়। ৬ জনের মধ্য একজনের নাম সাগর (২২)। তার বাড়ী পৌর শহরের ভৈরবপুর গ্রামে। সাগরের স্ত্রীর সঙ্গে বাপ্পির অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে সে জানায়। সাগর ঘটনাটি আগে থেকেই অবগত ছিল। একারণে সে আগে থেকেই বাপ্পীর প্রতি ক্ষিপ্ত ছিল। সাগর সেদিন সুযোগটি কাজে লাগিয়ে বাপ্পীকে গলায় ছুরিকাঘাত করে খুন করে। আমরা এঘটনা দেখে সঙ্গে সঙ্গে ছিনতায়ের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।  

উল্লেখ্য গত ১২ আগস্ট ভৈরব রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে। পরে এদিনই ভৈরব রেলওয়ে থানায় এব্যাপারে পৃথক পৃথক দুটি মামলা করা হয়। একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এবং অপরটি খুনের ঘটনায়। বাপ্পী খুনের ঘটনায় তার বাবা মোবারক মিয়া জুটনকে প্রধান আসামি করে ৪ জনকে আসামি করে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিল বলে জানায় পুলিশ। 

গত বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ভৈরব পুর দক্ষিণ পাড়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি বাসা থেকে জুটনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরদিন শুক্রবার সে আদালতে জবানবন্দি দিয়ে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে।

Bootstrap Image Preview