Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মেহেরপুরে ইম্প্যাক্ট (ফেজ–২) প্রকল্পের আওতায় তৈরি হচ্ছে বায়োগ্যাস প্লান্ট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১০ PM
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১০ PM

bdmorning Image Preview


মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামকে বায়োগ্যাস পল্লী হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন কাঠের ওপর নির্ভরতা কমাতে বিভিন্ন গ্রামে ইম্প্যাক্ট (ফেজ) প্রকল্পের আওতায় তৈরি হচ্ছে বায়োগ্যাস প্লান্ট

বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার জানান, উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে পর্যন্ত ১৭৫টি পরিবারে স্থাপন করা হয়েছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট

গ্রামটিকে বায়োগ্যাস পল্লী হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন একটি সেন্ট্রাল বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শতভাগ পরিবারকে বায়োগ্যাসের আওতায় আনার চেষ্টা করছে উপজেলা প্রশাসন

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা ইমপ্যাক্ট প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম জানান, থেকে ৩টি গরু থাকলেই প্লান্ট তৈরি করা যায়

গরুর গোবর মুরগির বিষ্টা ব্যবহার করে ব্যায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে যা থেকে জ্বালানীর চাহিদা মিটছে সেই সঙ্গে পরিবারের অর্ধেক খরচ কমিয়ে দিয়েছে আর উচ্ছিষ্ট দিয়ে তৈরি হচ্ছে সবুজ সার এই সার ব্যবহার করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ছে

গোপালপুর গ্রামের গ্রাহক আব্দুল হামিদ বাবুল হোসেন জানান, রান্নার খরচ জোগাতে ছোট একটি পরিবারের প্রতি মাসে আড়াই থেকে হাজার টাকা গুনতে হয় ফলে দিন দিন পরিবারের ব্যয় বাড়ছে কিন্তু বায়োগ্যাস প্লান্ট সে চিত্র বদলে দিয়েছে

  থেকে ৩টি গরু দিয়ে প্লান্ট তৈরিতে খরচ পড়ে ৩০ হাজার টাকা সরকারিভাবে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে হাজার টাকা বাকি টাকা যুব উন্নয়ন অধিদফতরকে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে

গোপারপুর গ্রামের গৃহিনী সোহেলী নূর জানান, পরিবেশ বান্ধব প্লান্ট ব্যবহারে সাশ্রয় হচ্ছে সময়, কমছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি জ্বালানী কাঠের ব্যবহারও কমছে অনেক পরিবার এখন উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়িতে বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরির কথা ভাবছেন

এবিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদফতরের কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার কুন্ডু জানান, শুধু এই গ্রামই নয়, প্রকল্পটি অন্যন্য গ্রামে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কাজ করছে যুব উন্নয়ন

Bootstrap Image Preview