সারা বিশ্বে শকুনকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনা দিবস পালিত হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন অধিদপ্তর ও প্রকৃতি, পেপার ব্লস ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের 'পরিবেশ সচেতনতা ক্লাবের' উদ্যোগে গতকাল রবিবার দিবসটি পালন করা হয়।
এদিকে দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদিচত্ত্বর প্রাঙ্গন থেকে র্যালি শুরু হয়ে ২নংবিল্ডিং এর সামনে যেয়ে শেষ হয়। এরপর সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তন এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের ডীন প্রফেসর এ কে ফজলুল হক, সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড সালমা বেগম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় বন বিভাগের প্রধান মোঃ মুমিনুল আহসান এবং বন অধিদপ্তর ও প্রকৃতি, পেপার ব্লস ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এর কান্ট্রি অফিসার এ বি এম সারোয়ার হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি তিনি তার বক্তব্যে বলেন, "শকুন পরিবেশ ও হিউম্যান রিসোর্স জন্য আর্শীবাদস্বরুপ। এদের সংরক্ষণের দায়িত্ব সমাজের সবার।" সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে বলেন, " শকুন পরিবেশের পরিচ্ছন্নতাকারী প্রাণি, অনেক সময় ধর্মীয়কারণে আমরা এদেরক মেরে ফেলি। তাই এ বিষয়ে সকলকে সচেতন করতে হবে।"
উক্ত র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক শরীফ হাসান,পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লেনের প্রফেসর ড.রাকিব উদ্দীন, প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার দত্ত, প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, প্রফেসর আব্দুলাহ ইউসুফ আল হারুন, সহযোগী শিক্ষক প্রসুন কুমার ঘোষ, সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এবং পরিবেশ সচেতনতা ক্লাব ও পেপার ব্লুস এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফাহিম রাফি। এই অনুষ্ঠান সঞ্চলনার দায়িত্ব পালন করেন মুস্তফা মুজাহিদ ও সামিয়া চমক।
উল্লেখ্য, পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ'ডাইক্লোফেনাক ও কিটোপ্রফেন' শকুনের জন্য বিষাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। মৃতজীবজন্তু ও পঁচা আবর্জনা খেয়ে ফেলে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে শকুনের উপস্থিতি বেশী দেখা যায় বলে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিভাবে শকুন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।