Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

জাতীয় নির্বাচনে ‘নতুন ইমাম’ হচ্ছেন এরশাদ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০১৮, ০৫:৩৮ PM
আপডেট: ১২ আগস্ট ২০১৮, ০৫:৩৮ PM

bdmorning Image Preview


বিডিমর্নিং ডেস্ক-

ইমামতির জন্য কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন, সেটা এরশাদের আছে। আমরা তাঁকে আমাদের নেতৃত্ব বা ইমামতির দায়িত্ব দিয়েছি। কারণ, কোনো মহিলাকে ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া যায় না।

 

কথাগুলো বলেন এরশাদের সঙ্গে আগেই জোটবদ্ধ নিবন্ধনহীন দল ইসলামি মহাজোটের চেয়ারম্যান আবু নাছের ওয়াহেদ ফারুক। আজ শনিবার রাজধানীতে ধর্মভিত্তিক দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী সমঝোতা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন ওয়াহেদ।এরশাদের নেতৃত্বে বর্তমানে ৫৮ দলের সম্মিলিত জাতীয় জোট আছে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস যুক্ত হওয়ায় দলের সংখ্যা হলো ৫৯।

ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলে এরশাদের জোট গঠন এই প্রথম নয়। ১৯৯৯ সালে বিএনপি, জাতীয় পার্টির, জামায়াত এবং ইসলামী ঐক্যজোট মিলে চারদলীয় জোট গঠনের সময়ও ইসলামি শাসনের কথা বলা হয়েছিল।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এরশাদ জোট ভেঙে বের হয়ে জোটবদ্ধ হন চরমোনাই পীরের ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সঙ্গে। তবে নির্বাচনের পর এই জোট ভেঙে যায়।

আজকের অনুষ্ঠানে জোট নেতা ওয়াহেদ ফারুকের এই বক্তব্যের পর আপ্লুত এরশাদ বলেন, ‘ইসলামের চেয়ে বড় শক্তি আর নেই। কিন্তু অনৈক্যের কারণে ইসলাম আজ ধ্বংসের মুখে। ইসলামকে এ দেশে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইসলামের আওয়াজকে বুলন্দ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সঙ্গে ছয় দফা চুক্তির ভিত্তিতে নির্বাচনী সমঝোতা করেন এরশাদ। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এই ছয় দফার ভিত্তিতে সমঝোতা করেছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গেও। তবে ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির নির্বাচন ভেস্তে যাওয়ার পর এই সমঝোতা থেকে সরে আসে আওয়ামী লীগ।

খেলাফত মজলিস এক সময় বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটে ছিল। দলটির প্রতিষ্ঠাতা শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক তখন কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ছিলেন।

Bootstrap Image Preview