মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় প্রতিবেশীদের পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় জাতীয় দলের সাবেক পেসার প্রভীন কুমারের বিরুদ্ধে।
অনেকদিন যাবত জাতীয় দলে খেলার সুযোগ না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে গত বছর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ভারতীয় পেসার প্রভীন কুমার।
প্রতিবেশী দীপক শর্মাই এই অভিযোগ করেছেন। জানিয়েছেন, প্রভীনের ক্রোধ থেকে তাঁর সাত বছরের ছেলেও রক্ষা পায়নি। মার খেয়েছে সেও। দীপক জানিয়েছেন, ‘আমি সেদিন বেলা তিনটার দিকে আমার ছেলের জন্য বাসস্টপে অপেক্ষা করছিলাম। তখনই ও চলে এল। নিজের গাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমে বাসের ড্রাইভার আর আমাকে গালিগালাজ করা শুরু করে। ও মদ খেয়ে এসেছিল। তারপর ও আমাকে পেটাতে শুরু করে। পিটিয়ে হাত ভেঙে দিয়েছে আমার। এমনকি আমার ছেলেকেও ছাড়েনি, ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে তাকে। আমার ছেলে পিঠে ব্যথা পেয়েছে।’
তবে পুলিশের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন দীপক, ‘পুলিশ আমাকে বলছে বিষয়টা আপসে মিটমাট করে নিতে। এমনকি আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে অজ্ঞাতনামা কারওর কাছ থেকে।’
উত্তর প্রদেশের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট অখিলেশ নারায়ণ সিং অবশ্য ন্যায্যবিচার হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন, ‘ওরা দুজনেই প্রতিবেশী। পুলিশ ব্যাপারটা জানতে পেরেছে। তাদের দুজনের বক্তব্যই পেয়েছি আমরা। মেডিকেল প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছি। আমরা দেখছি কী করা যায়।’
২০০৮ থেকে ২০১০-১১ এই সময়টায় ভারতের পেস আক্রমণের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার ছিলেন এই বোলার। বলে তেমন গতি না থাকলেও সুইং ছিল, ফলে মোটামুটি কার্যকর বোলারই ছিলেন। ভারতের হয়ে ওয়ানডে খেলেছেন ৬৮টা, ছয়টি টেস্টও খেলেছেন। এখন আর দলে ডাক পান না, ফলে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন গত বছর। সেই প্রভীন কুমার আবার চলে এলেন খবরে।
এখনো প্রভীন কুমারের বিপক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ক্রিকেট ছাড়ার পর রাজনীতিতে ঢুকেছেন এই পেস তারকা। গত বছর নাম লিখিয়েছেন সমাজবাদী পার্টিতে।