বরিস জনসন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। তাতে কি লিওনেল মেসির ইংল্যান্ডে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে যাওয়া আটকে যেতে পারে? এ রকম অদ্ভুত এক আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে ব্রিটেনেই।
জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মানে ‘ব্রেক্সিট’ অর্থাৎ, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সেটা হলে আইনি নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। মেসি স্পেনে অভিযুক্ত হয়েছিলেন করফাঁকির দায়ে। যদিও তাঁকে ‘সাসপেন্ডেড’ শাস্তি দেয়া হয়েছিল, তবুও জটিলতা থাকবে বলে জানাচ্ছেন ব্রিটেনেরই কিছু আইনজীবী।
ব্রিটেনের এক ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কেউ আইনের ভাষায় দোষী সাব্যস্ত হলে, তিনি ইংল্যান্ডে যেতে পারবেন, যদি কর্তৃপক্ষ মনে করে সেই ব্যক্তি দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় বাধা নন। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের কোনো অভিযুক্তকে যদি কারাবাসের শাস্তি দেয়া হয়, সে যতই ‘সাসপেন্ডেড’ শাস্তি হোক, সেই ব্যক্তিকে ইংল্যান্ডে ঢুকতে দেয়া হয় না। মেসি আর্জেন্টিনীয় হলেও তার স্পেনের নাগরিকত্ব আছে। এ ক্ষেত্রে কীভাবে বিচার করা হবে, সেটা এখনই আইনজীবীরা জানাতে পারেননি। তবে জটিলতা যে থাকবে তা জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’ হলে বিপদে পড়বে অনেক ক্লাব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির ফুটবলাররা যত সহজে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবে খেলার সুযোগ পেতেন সেরকম হবে না। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশী হিসেবেই টিমে নিতে হবে ওই খেলোয়াড়দের। ফলে আইনি জটিলতার কারণে দলে বিদেশি ভালো খেলোয়াড় নিতে সমস্যায় পড়বে ক্লাবগুলো।