এ যেন উন্নাওকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি! ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া অবস্থায় ভারতের কানপুরের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে। উন্নাওয়ের তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। ধর্ষকরা কেউই তার আত্মীয় বা পরিচিত ছিলেন না। তবে ফতেপুরের তরুণীকে ধর্ষণকারী কিন্তু তারই দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়। দু'টি ঘটনার পার্থক্য এখানেই।
ফতেপুরের হুসেইনগঞ্জ থানার সার্কল অফিসার কপিল দেব মিশ্রা জানান, ফতেপুরের ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীকে ধর্ষণকারী তারই দূর সম্পর্কের আত্মীয়। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই তরুণী। সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণের পর ধরা পড়ার ভয়ে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি আরো বলেন, তরুণীর গায়ে আগুন দিয়ে চুপিসারে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। প্রতিবেশীরা তরুণীর চিত্কার শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন আগুনে জ্বলছে তরুণী। তারাই নিয়ে যান স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কানপুর হাসপাতালে।
অগ্নিদগ্ধ তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছে পুলিশ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর। বিয়েরও কথা চলছিল। কিন্তু, মাঝখান থেকে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে কেন অভিযুক্ত তার গায়ে আগুন দিল, পুলিশের কাছে তা স্পষ্ট নয়।
গত সপ্তাহে উন্নাওয়ের ধর্ষিতাকে প্রাকাশ্যে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় পাঁচজন। অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জন 'ধর্ষক'ও ছিল। ঘটনার দিনই তারা ধরা পড়ে যায়। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই তরুণী।