দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রানের দেখা পেলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ব্যাটে চড়েই লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে ঢাকা প্লাটুন। সেই বিশ্বকাপ থেকে রান পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছিলেন দেশসেরা ওপেনার। ফর্মে ফিরতে বিশ্রামে গেছেন, কঠোর পরিশ্রম করেছেন। অবশেষে আজ এল সেই কাঙ্খিত ম্যাচ। তামিমের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন লঙ্কান হার্ডহিটার থিসারা পেরেরা। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮০ রান তুলেছে ঢাকা প্লাটুন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল। স্কোরবোর্ডে কোনো রান যুক্ত হওয়ার আগেই মুজিব-উর-রহমানের বলে 'ডাক' মেরে ফিরেন এনামুল হক বিজয়। তামিমের সঙ্গে জুটি জমে উঠতেই ১২ রান করে আবু হায়দার রনির বলে আল আমিনের তালুবন্দি হন ১২ রান করা মেহেদি হাসান। তৃতীয় উইকেটে কাঙ্খিত জুটির দেখা পায় ঢাকা। লরি ইভান্সের সঙ্গে ৭৫ রানের দারুণ জুটি গড়েন তামিম। ইভান্স ২৪ বলে ২৩ রানে আউট হলে এই জুটির অবসান হয়। কিন্তু তামিমকে থামায় কার সাধ্যি?
শুরুটা ধীরগতির হলেও সময়ের সঙ্গে তা কাটিয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে ৪০ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপরেও তরবারির মতো চলছিল তার ব্যাট। সঙ্গী থিসারা পেরেরাও স্বভাবসুলভ মারকুটে ব্যাটিং করছিলেন। আবু হায়দারের করা ১৬তম ওভারে টানা ৪ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের ওভারে দাসুন শানাকাকে একটি করে চার-ছক্কা মেরে সাব্বির রহমানের তালুবন্দি হন তামিম। শেষ হয় ৫৩ বলে ৬ চার ৪ ছক্কায় ৭৪ রানের গোছানো ইনিংস। শহিদ আফ্রিদি ৪ রানে আউট হলেও পেরেরা খেলেন ১৭ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংস।