Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সৌদি সরকার ১০ হাজার কোটা বাড়াল বাংলাদেশি হজযাত্রীর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:২৯ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:২৯ PM

bdmorning Image Preview


২০২০ সালে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯১ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে ১০ হাজার হাজি বৃদ্ধি করেছে সৌদি আরব। এজেন্সিপ্রতি সর্বনিম্ন হাজির সংখ্যা ১০০ জন।

এছাড়াও হজ এজেন্সির জন্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশন (IATA) লাইসেন্স থাকার বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে। হজ চুক্তির পর একথা জানিয়েছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

বুধবার মক্কায় দুই দফা বৈঠকের পর চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়। চুক্তি স্বাক্ষরে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। সৌদি পক্ষের নেতৃত্ব দেন হজ ও উমরা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুল ফাত্তাহ সোলাইমান মাশাত।

বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, জেদ্দার কনসাল জেনারেল ফায়সাল আহমেদ, কাউন্সিলর হজ মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান,

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম, হজ অফিস ঢাকার পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শওকত হোসাইন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম এনালিস্ট মো. সাইফুল ইসলাম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব নাজমুল হক সৈকত।

এর আগে, দুপুরে বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হজযাত্রীর কোটা বাড়ানো, রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করা এবং হজ শেষে দেশে ফেরার সময় জেদ্দা ও মদিনা এয়ারপোর্টে হাজিদের ইমিগ্রেশন সহজ করা, হাজিদের ৪২ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের কম সময়ে দেশে ফেরার উদ্যোগ নেওয়া, ভিসা প্রসেসিং সহজ করা, খাওয়া-থাকাসহ সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, কালো তালিকাভুক্ত বেসরকারি হজ এজেন্সির তালিকা দ্রুত প্রকাশ করা,

হাজিদের জন্য বাধ্যতামূলক খাবার সরবরাহের প্রথা বন্ধ করা এবং মিনায় উন্নতমানের বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন ও উন্নতমানের আবাসনের ব্যবস্থা করা, হজের সময় বাংলাদেশে আইন লঙ্ঘন করে সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া, হাজি পরিবহনে বাস সার্ভিস উন্নত করা ও বাংলাদেশি হাজিদের জন্য ট্রেন পরিবহন সার্ভিস বাড়ানোর দাবি উত্থাপন করা হয়।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ২৫ জুন থেকে শুরু হবে হজ ফ্লাইট।

Bootstrap Image Preview